সরল তাওহীদ
বই: সরল তাওহীদ
মূল: আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ আল-হুওয়াইল
উপস্থাপনায়: ফযীলাতুশ শায়খ আল্লামা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাহমান আল-জিবরীন ও
ফযীলাতুশ শায়খ ডঃ খালেদ বিন আব্দুল্লাহ আল-মুসলেহ
অনুবাদ: শাইখ আব্দুল হামীদ ফাইযী আল মাদানী
প্রকাশনী: তাওহীদ পাবলিকেশন্স
বিষয়: তাওহীদ ও শির্ক
পৃষ্ঠা: ৯৬
কভার: পেপার ব্যাক
বইটি কিনতে কিল্ক করুন: সরল তাওহীদ
আরো জানতে কিল্ক করুন: তাওহীদ পাবলকিশেন্স
সরল তাওহীদ
প্রণয়নে:-
আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ আল-হুওয়াইল
উপস্থাপনায়:-
ফযীলাতুশ শায়খ আল্লামা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাহমান আল-জিবরীন
ও
ফযীলাতুশ শায়খ ডঃ খালেদ বিন আব্দুল্লাহ আল-মুসলেহ
অনুবাদ:-
আব্দুল হামীদ ফাইযী আল মাদানী
সরল তাওহীদ
সূচীপত্র
বিষয়:
- উপস্থাপনা
- উপস্থাপনা
- ভূমিকা
- তাওহীদের সংজ্ঞা
- তাওহীদের প্রকারভেদ
- তাওহীদের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য
- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’র সাক্ষি
- শির্ক
- শির্কে আকবারের প্রকারভেদ
- শির্কের ইতিহাস
- ইসলাম-বিনাশী কর্মাবলী
- তাগূত অস্বীকার করা
- তিনটি মৌলনীতি
- কুফরী
- মুনাফিক্বী (কপটতা)
- ইসলাম
- ঈমান
- ইহসান
- ইবাদত
- ভালবাসার প্রকারভেদ
- ভয়
- আশা
- ভরসা
- দু’আ
- রুকা (ঝাড়-ফুঁক) তামায়েম (তাবীয-কবচ)
- সরল তাওহীদ
- তাবার্রুক
- অসীলা ধরা
- যবেহ
- নযর
- ইস্তি আনাহ, ইস্তি গাষাহ ও ইস্তি আযাহ
- শাফাআত
- কবর যিয়ারত
- যাদু
- নুশরাহর বিধান
- গণক
- ত্বিয়ারাহ
- তানজীম
- ইস্তিস্কা বিল-আনওয়া’
- রিয়া’
- ইবাদতের উদ্দেশ্য দুনিয়া হলে
- হলফ
- আল্লাহ ও কোন সৃষ্টির মাঝে সমকক্ষতার বিধান
- ‘যদি’ যোগে কথা
- যুগকে গালি
- বিদআত
- তাওহীদের প্রতি আহবান
- পরিশিষ্ট
- লেখকের অন্যান্য বই
সরল তাওহীদ
উপস্থাপনা
ফযীলাতুশ শায়খ আল্লামা ডঃ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাহমান আল-জিবরীন
আমি শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ আল-হুওয়াইল কর্তৃক প্রণীত ‘আত্-তাওহীদুল মুয়াস্সার’ নামক পুস্তিকাটি পাঠ করলাম । দেখলাম, এটি একটি মূল্যবান পুস্তি কা। এতে রয়েছে তাওহীদ ও ইবাদতের সংজ্ঞা, তার মাহাত্ম্য এবং সেই ইবাদতসমূহের উদাহরণ, যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য নিবেদন করা শুদ্ধ নয়। লেখক এতে কিছু কিছু শির্কের কথা অথবা কোন্ শির্ক তাওহীদের প্রকৃতত্বকে ধ্বংস ক’রে দেয়, সে কথাও উল্লেখ করেছেন।
সুতরাং আমি এ পুস্তি কা ছাপতে, প্রকাশ করতে এবং সেই সকল দেশে প্রচার করতে অসিয়ত করছি, যে সকল দেশের মানুষ অজ্ঞতা ও অন্ধানুকরণবশতঃ বহু প্রকার শির্কে আপতিত হয়েছে। সম্ভবতঃ আল্লাহ তাআলা এর দ্বারা সেই ব্যক্তিকে উপকৃত করবেন, যার জন্য তিনি কল্যাণ চাইবেন ।
وصلى الله على نبينا محمد وآله وصحبه وسلم.
২৫/৩/১৪২৫হিঃ
আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাহমান আল-জিবরীন
সরল তাওহীদ
উপস্থাপনা
ফযীলাতুশ শায়খ ডঃ খালেদ বিন আব্দুল্লাহ আল-মুসলেহ
আমাদের ভাই শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ আল-হুওয়াইল কর্তৃক লিখিত ‘আত্-তাওহীদুল মুয়াস্সার’ নামক পুস্ত কে তিনি যা লিখেছেন, সে সম্বন্ধে অবহিত হলাম । তাতে যেভাবে এই গুরু ত্বপূর্ণ ইলমকে সরল ও সহজ ক’রে পরিবেশন করা হয়েছে, তা দেখে আমি আনন্দিত হলাম। যেহেতু শিক্ষার্থীর জন্য (শিক্ষাকে) সহজ ক’রে দেওয়া শরীয়তের অন্যতম উদ্দেশ্য । এই জন্যই মহান আল্লাহ বলেছেন
অর্থাৎ, নিশ্চয় আমি কুরআনকে উপদেশ গ্রহণের জন্য সহজ ক’রে দিয়েছি। অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি? (ক্বামার: ২২)
যেমন সহীহ গ্রন্থে আবূ হুরাইরা কর্তৃক বর্ণিত, নবী ( স) বলেছেন,অর্থাৎ, তোমাদেরকে সহজ নীতি অবলম্বন করার জন্য পাঠানো হয়েছে, কঠোর নীতি অবলম্বন করার জন্য পাঠানো হয়নি।’ সহীহ মুসলিমে জাবের কর্তৃক বর্ণিত, তিনি আরো বলেছেন,অর্থাৎ, নিশ্চয় আল্লাহ আমাকে কঠোর ও কট্টররূপে পাঠাননি, বরং আমাকে সরল শিক্ষকরূপে পাঠিয়েছেন।
সুতরাং ইল্ম ও আমলে বর্কতময় এই শরীয়তের বুনিয়াদই হল সরলতার উপর। আর তা শরীয়তের ব্যাপকতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা সকল মানুষের জন্য পালনীয়।
আমাদের ভাই শায়খ আব্দুল্লাহ যা করেছেন, তা প্রশংসনীয় সুন্দর কাজ। বিশেষ ক’রে তিনি যে জিনিস সরল ও বুঝার সন্নিকট করেছেন, তা সকল ইমের মূল—ইমুত তাওহীদ। যে ইমের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর হক সম্বন্ধে পরিচিত লাভ ক’রে থাকে, যে ইল্ম দ্বারা তার ইহ- পরকাল সুন্দর হয়।
আমি নিজেদের জন্য ও তাঁর জন্য কথা ও কাজে আল্লাহর নিকট তাওফীক ও সঠিকতা প্রার্থনা করি। এবং এও প্রার্থনা করি যে, তিনি যেন এই বর্কতময় প্রচেষ্টা দ্বারা মানুষের উপকার সাধন করেন ।
লিখেছেন—
খালেদ বিন আব্দুল্লাহ আল-মুসলেহ
সরল তাওহীদ
ভূমিকা
এই পুস্তিকা তাওহীদ অধ্যায়ে উপকারী সংক্ষিপ্ত রচনা, সারসংক্ষেপ মাসায়েল এবং তৃপ্তিকর পাঠগুচ্ছ, যে তাওহীদ ছাড়া আল্লাহ কোন আমল কবুল করবেন না এবং তা প্রতিষ্ঠা ব্যতীত কোন বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হবেন না।
আমি এই সংক্ষিপ্ত পুস্তি কায় এমন কিছু রীতি-নীতি ও প্রকার-প্রকরণ পরিবেশন করেছি, যা পাঠকের জন্য বহু বিক্ষিপ্ত বিষয়কে একত্রিত করবে, উধাও হতে চাওয়া জিনিসকে শৃঙ্খলিত করবে এবং তার মস্তিষ্কে ইল্মকে সুবিন্যস্ত করবে।
যখন দু’টি বিষয় ছাড়া বস্তুকে জানা যায় না,
১। তার প্রকৃতত্ত্ব বা স্বরূপ
২। তার বিপরীত বিষয়
তখন আমি তাওহীদের প্রকৃতত্ত্বের উপর আলোকপাত করেছি, তার মৌলনীতি ও প্রকারসমূহ বর্ণনা করেছি। অতঃপর দ্বিতীয় পর্যায়ে তাওহীদের বিপরীত বিষয়কে উল্লেখ করেছি, আর তা হল ‘শির্ক’। তার সংজ্ঞা বলেছি, তার নানা ধরন, প্রকার ও বিধান বর্ণনা করেছি। যেহেতু
অর্থাৎ, বিপরীত বিষয়ের সৌন্দর্যকে প্রকাশ করে বিপরীত বিষয়ই। আর বিপরীত জিনিস দ্বারাই জিনিস স্বাতন্ত্র্য লাভ করে ।
বলা বাহুল্য, শির্কের কদর্য ও বিপত্তি জানা ব্যতিরেকে তাওহীদের সৌন্দর্য ও মাহাত্ম্য প্রকাশ পেতেই পারে না । অবশ্য সংক্ষিপ্ত এই পুস্তি কায় অন্য এমন কিছু গুরু ত্বপূর্ণ বিষয়ও সংযোগ করেছি, যা জানার ব্যাপারে তাওহীদবাদী অমুখাপেক্ষী নয় । সকল মাআলাকে সুবিন্যস্ত, সুসামঞ্জস্য ও বিভক্তিকরণের ব্যাপারে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়েছি। প্রত্যেক বিষয়ের সংজ্ঞা, পরিচিতি এবং সংক্ষিপ্তভাবে তার প্রামাণ্য-উদ্ধৃতি দিতে যত্নবান হয়েছি। যাতে এই সংক্ষিপ্ত পুস্তি কা স্মৃতিস্থ ও হৃদয়ঙ্গম করতে সহজ হয়।বর্ণনায় বিরক্তিকর দৈর্ঘ্য ও অপূর্ণ সংক্ষেপ থেকে দূরে থেকেছি। সুতরাং পুস্তি কাটিকে উভয় ক্র টির মাঝামাঝি রূপে রচনা করেছি। এর পরেও যদি সঠিক করেছি, তাহলে তা একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যদি ভুল করেছি, তাহলে তা আমার নিজের ও শয়তানের পক্ষ থেকে।
এই পুস্তিকাটির (সকল উপকরণ) আমি সত্যানুসন্ধানী তাওহীদবাদী উলামাদের গ্রন্থ থেকে চয়ন করেছি। আর এর নাম দিয়েছি, ‘আত্- তাওহীদুল মুয়াসার’ (সরল তাওহীদ)।
সর্বশক্তিমান সাহায্যস্থল আল্লাহর কাছে আমার প্রার্থনা যে, তিনি যেন এর দ্বারা মানুষের উপকার সাধন করেন এবং তাঁর সাথে সাক্ষাতের দিন একে আমার নেকীর পাল্লায় রাখেন।
আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ আল-হুওয়াইল রিয়ায
সরল তাওহীদ
তাওহীদের সংজ্ঞা
আভিধানিক অর্থ:
শব্দটি, এর মাসদার। যার অর্থ একক করা ।
উদাহরণ:
যখন বলবে, ‘মুহাম্মাদ ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবে না।’ তখন তুমি মুহাম্মাদকে ঘর থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে ‘একক’ করবে। যখন বলবে, ‘খালেদ ছাড়া মজলিস থেকে কেউ উঠবে না।’ তখন তুমি খালেদকে মজলিস থেকে উঠার ব্যাপারে ‘একক’ করবে। (তার মানে মুহাম্মাদ ও খালেদের সাথে অন্য কেউ শরীক হবে না।) শরয়ী অর্থ:
আল্লাহ তাআলাকে তাঁর
১। রু বৃবিয়াত
২। উলূহিয়াত ও
৩। আসমা অস্থিফাতে একক বলে জানা ।
তাওহীদের প্রকারভেদ
তাওহীদ তিন প্রকার:
১। তাওহীদুর রুবূবিয়্যাহ
২। তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ
৩। তাওহীদুল আসমা অস্থিফাত।
১। তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ
সংজ্ঞা: আল্লাহ তাআলাকে (১) সৃষ্টি (২) আধিপত্য ও (৩) নিয়ন্ত্রণে
একক বলে জানা অথবা মহান আল্লাহকে তাঁর কর্মাবলীতে একক বলে জানা ।
তাঁর কর্মাবলীর উদাহরণ: সৃষ্টি করা, রু যী দেওয়া, জীবন দেওয়া, মরণ দেওয়া, বৃষ্টি বর্ষণ করা, গাছপালা উদ্গত করা ইত্যাদি । এর দলীলসমূহ: মহান আল্লাহর বাণী,
অর্থাৎ, জেনে রাখ, সৃষ্টি করা এবং নির্দেশদান তাঁরই কাজ । (আ’রাফ: ৫৪)
অর্থাৎ, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌম ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহরই । (আলে ইমরান: ১৮৯)
অর্থাৎ, তুমি বল, ‘তোমাদেরকে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী হতে রু যী দান করে কে? অথবা কর্ণ ও চক্ষুসমূহের মালিক কে? আর মৃত হতে জীবন্ত এবং জীবন্ত হতে মৃত বের করে কে? আর সকল বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে কে?’ তারা বলবে, ‘আল্লাহ।’ অতএব তুমি বল, “তাহলে কেন তোমরা সাবধান হও না?”
২। তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ (বা তাওহীদুল ইবাদাহ):
সংজ্ঞা: আল্লাহ তাআলাকে তাঁর বান্দার বন্দেগীতে একক বলে জানা ।
উদাহরণ: বান্দার বন্দেগী বা ইবাদত, যেমন: নামায পড়া, রোযা রাখা, হজ্জ করা, ভরসা করা, নযর মানা, ভয় করা, আশা রাখা, ভালবাসা ইত্যাদি । এর দলীলসমূহ:
অর্থাৎ, আমি সৃষ্টি করেছি জ্বিন ও মানুষকে কেবল এ জন্য যে, তারা আমারই ইবাদত করবে। (যারিয়াত: ৫৬)
অর্থাৎ, তোমরা আল্লাহর উপাসনা কর ও কোন কিছুকে তাঁর অংশী করো না। (নিসা: ৩৬)
অর্থাৎ, আমি তোমার পূর্বে ‘আমি ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই; সুতরাং তোমরা আমারই উপাসনা কর’-এ প্রত্যাদেশ ছাড়া কোন রসূল প্রেরণ করিনি । (আম্বিয়া: ২৫)
৩। তাওহীদুল আসমা অস্থিফাত:
সংজ্ঞা: মহান আল্লাহকে সেই গুণে গুণান্বিত জানা, যে সর্বাঙ্গসুন্দর গুণে। তিনি নিজে অথবা তাঁর রসূল (স) গুণান্বিত করেছেন, তার কোন প্রকার কেমনত্ব ও উদাহরণ বর্ণনা না করা এবং তা বিকৃত ও নিক্রিয় না করা। ও এর দলীলসমূহ:
অর্থাৎ, কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয় । তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা । (শূরা: ১১)
অর্থাৎ, উত্তম নামসমূহ আল্লাহরই। সুতরাং তোমরা সে সব নামেই তাঁকে ডাকো। আর যারা তাঁর নাম সম্বন্ধে বক্রপথ অবলম্বন করে, তাদেরকে বর্জন কর, তাদের কৃতকর্মের ফল তাদেরকে দেওয়া হবে ।
জরুরী কথা
এক: উক্ত তিন প্রকার তাওহীদ একটি অপরটির সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এক প্রকার তাওহীদ অন্য প্রকার থেকে বিচ্ছিন্ন নয় । সুতরাং যদি কোন ব্যক্তি এক প্রকার তাওহীদে বিশ্বাস রাখে এবং অন্য প্রকারে অবিশ্বাস করে, তাহলে সে তাওহীদবাদী হতে পারবে না ।
দুই: জেনে রেখো যে, যে কাফেরদের বিরু দ্ধে আল্লাহর রসূল ( যুদ্ধ করেছেন, তারা ‘তাওহীদুর র বৃবিয়্যাহ’কে মানত। তারা স্বীকার করত যে, আল্লাহই সৃষ্টিকর্তা, রু যীদাতা, জীবন ও মরণদাতা, তিনিই উপকার করেন, অপকার করেন, তিনিই সারা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ বিশ্বাস তাদেরকে ইসলামে প্রবিষ্ট করেনি ।
এর প্রমাণ হল মহান আল্লাহর এই বাণী, অর্থাৎ, তুমি বল, ‘তোমাদেরকে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী হতে রুযী দান
Reviews
There are no reviews yet.