❏ ফিতনাতুত তাকফীর!
মুসলিমকে কাফির বলার ফিতনা, এটি একটি বড় ও প্রাচীন ফিতনা। এই ফিতনার সৃষ্টি করেছিল খারেজীরা। অনেক নামধারী মুসলিমের মধ্যেই কুফর ও শিরক বিদ্যমান। সমাজের অনেক মানুষই নিজেকে মুমিন ও তাওহীদে বিশ্বাসী বলে দাবী করার পরও বিভিন্ন প্রকার শিরক ও কুফরে লিপ্ত থাকেন। তাদের এ সকল কর্ম শিরক অথবা কুফর বলে নিশ্চিত জানার পরও এদেরকে কাফির বা মুশরিক বলার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা ইসলামের নির্দেশ। উগ্রপন্থীরা গুনাহগার মুসলিম ব্যক্তিকে কাফির বলে ফতওয়া দিয়ে থাকে। কোন কর্মকে কুফর বা শিরক বলা এবং কোন ব্যক্তিকে কাফির বা মুশরিক বলার মধ্যে রয়েছে আকাশ-পাতাল পার্থক্য।
খারেজীদের মতো বর্তমানেও মুসলিম ব্যক্তিকে কাফির বলার প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। চরমপন্থীরা কুরআন ও হাদীসের অপব্যাখা করে ভিবিন্ন দেশের সরকার, আলেম-উলামা থেকে শুরু করে সাধারন মুসলিমদেরকেও ঢালাওভাবে কাফির বলে ফাতওয়া প্রদান করে।
মূলত যারা তাদের মত ও পথের অনুসারী নয় তাদেরকেই চরমপন্থীরা কাফির মনে করে। অথচ মুসলিম ব্যক্তি কবীরা গুনাহ করলেও তাকে কাফির বলা যাবে না, কৃত গুনাহের জন্য সে ফ্বাসিক, ফাজির তথা পাপাচারী হিসাবে গণ্য হবে, কিন্তু সে কাফির হবে না। ইমাম আলবানী রাহিমাহুল্লাহ এই ফিতনার অন্যতম কারন হিসাবে দুটি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন।
প্রথমত, ইলমের অগভীরতা এবং দ্বিতীয়ত শরীয়তের আইন-কানুন সম্পর্কে তাদের গভীর জ্ঞান না থাকা, অথচ তারা আকাঙ্ক্ষা করে সহীহ ইসলামী দাওয়াতের।
Reviews
There are no reviews yet.