ফারায়েয (আরবি: فَرَائِضُ) হচ্ছে ইসলামী উত্তরাধিকার আইন। এটি ইসলামী ফিকহ শাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
পরিচ্ছেদসমূহ
১ ফারায়েয-এর পরিচয়
২ ফারায়েয শাস্ত্রের গুরুত্ব ও ফযীলত
৩ ফরায়েয শাস্ত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য
৪ ফারায়েযের বণ্টন-পদ্ধতি
৫ তথ্যসূত্র
ফারায়েয-এর পরিচয়
ফরায়েয (فَرَائِضُ) শব্দটি আরবি فَرِيْضَةٌ এর বহুবচন। শাব্দিক অর্থ হচ্ছে: ফরয করা হয়েছে এমন বিষয়, আবশ্যকীয় বিষয়, অকাট্যভাবে প্রমাণিত বিষয়। ইসলামী পরিভাষায় فَرَائِض বলা হয়, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার সম্পত্তিকে। আর যে বণ্টন পদ্ধতির আলোকে উত্তারাধিকার সম্পত্তি বণ্টন করা হয় তাকে শরীয়তের পরিভাষায় عِلْمُ الْفَرَائِض বলা হয়।
আল্লামা আইনি রহ. বলেন, উত্তরাধিকার সম্পত্তিকে ইসলামে فَرَائِض নামে নামকরণ করার কারণ হল, শরীয়তে উত্তরাধিকার সম্পত্তির বণ্টন নীতি আল্লাহ তা’লা বিশেষভাবে ফরয করেছেন এবং প্রত্যকের অংশ কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত এবং এর মাঝে কমবেশি করার কোন সুযোগ নেই। তাই উত্তরাধিকার সম্পত্তিকে শরীয়তে فَرَائِض বলা হয়।[১][২]
ফারায়েয শাস্ত্রের গুরুত্ব ও ফযীলত
ইসলামী শরীয়তে উত্তরাধিকার সম্পত্তির বণ্টন পদ্ধতিকে পরিভাষায় عِلْمُ الْفَرَائِض বা ফারায়েয শাস্ত্র বলা হয়। শরীয়তে عِلْمُ الْفَرَائِض একটি স্বতন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ শাস্ত্র। এ কারণেই عِلْمُ الْفَرَائِض নিজে শেখা এবং অন্যকে শেখানোর গুরুত্ব যেমন আছে; তেমনিভাবে এর অনেক ফযীলতও রয়েছে। নিম্নে عِلْمُ الْفَرَائِض এর গুরুত্ব এবং ফযীলত সংক্রান্ত কিছু হাদীস উল্লেখ করা হল:
(১) ইবনে মাজাহ এবং ইমাম দারে ক্বুতনী রহ. হযরত আবু হুরায়রা রা. এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে,
عن أبى هريرة رضـ أنَّ النبي صلى الله عليه و سلم قال: تَعَلَّمُوا الْفَرَائِضَ وَعَلِّمُوهَ النَّاسَ فَإِنَّهُ نِصْفُ الْعِلْمِ وَهُوَ أَوَّلُ شَيْءٍ يُنْسَى وَهُوَ أَوَّلُ شَيْءٍ يُنْتَزَعُ مِنْ أُمَّتِي.
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. ইরশাদ করেছন, তোমরা নিজের عِلْمُ الْفَرَائِض শেখো এবং লোকদেরকেও শেখাও। কারণ তা জ্ঞানের অর্ধেক। আর এই জ্ঞানকেই সর্বপ্রথম বিস্মৃত করে দেয়া হবে এবং একেই সর্বপ্রথম (মানুষের মন থেকে) উঠিয়ে নেয়া হবে।[৩][৪][৫]
(২) ইমাম তিরমিযি, ইমাম নাসাঈ, ইমাম আহমাদ, ইমাম হাকিম রহ. সহ অনেকেই ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণনা করেন যে,
عن ابن مسعودٍ رضـ عن النبي صلى الله عليه و سلم قال: تَعَلَّمُوا الْفَرَائِضَ وَعَلِّمُوهَا النَّاسَ فَإِنِّي امْرُؤٌ مَقْبُوضٌ ، وَإِنَّ الْعِلْمَ سَيُقْبَضُ و تَظْهَرُ الفِتَنُ حَتَّى يَخْتَلِفَ الِاثْنَانِ فِي الْفَرِيضَةِ لَا يَجِدَانِ مَنْ يَقْضِيْهَا.
অর্থ: রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন, তোমরা নিজের عِلْمُ الْفَرَائِض শেখো এবং লোকদেরকেও শেখাও। কারণ আমাকে অচিরেই উঠিয়ে নেয়া হবে। আর একসময় ইলমকেও উঠিয়ে নেয়া হবে এবং বিভিন্ন ফেতনার আত্মপ্রকাশ ঘটবে। তখন দুই ব্যক্তি তাদের উত্তরাধিকার সম্পদ নিয়ে বিবাদে লিপ্ত হবে কিন্তু তারা এ বিষয়ে শরয়ী সমাধান দেয়ার মত লোক খোঁজে পাবে না। [৬][৭][৮]
(৩) ইমাম ত্ববরানী রহ. আবু বাকরাহ রা. এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে,
مَا رَوَاهُ أبو بَكْرَةَ مَرْفُوعًا: تَعَلَّمُوا الْقُرْآنَ وَالْفَرَائِضَ وَعَلِّمُوهَا النَّاسَ ، أَوْشَكَ أَنْ يَأْتِيَ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَخْتَصِمُ الرَّجُلَانِ فِي الْفَرِيضَةِ فَلَا يَجِدَانِ مَنْ يَفْصِلُ بَيْنَهُمَا.
অর্থ: রাসূল সা. ইরশাদ করেছন, তোমরা কোরআন এবং عِلْمُ الْفَرَائِض নিজে শিখ এবং লোকদেরকে শেখাও। অদূর ভবিষ্যতে লোকদের কাছে এমন এক সময় আসবে যখন দুই ব্যক্তি তাদের উত্তরাধিকার সম্পদ নিয়ে বিবাদে লিপ্ত হবে কিন্তু তারা এ বিষয়ে শরয়ী সমাধান দেয়ার মত লোক খোঁজে পাবে না। [৯]
Marzuuq Saajid –
Description এ Wikipedia থেকে عِلْمُ الْفَرَائِض এর গুরুত্ব এবং ফযীলত সংক্রান্ত কিছু দ্ব’ঈফ হাদীস copy করে paste করা করা হল৷
Marzuuq Saajid –
Description এ Wikipedia থেকে عِلْمُ الْفَرَائِض এর গুরুত্ব এবং ফযীলত সংক্রান্ত কিছু দ্ব’ঈফ হাদীস copy করে paste করা হল৷তাছাড়া ‘ইলমুল ফারায়েজ সম্পর্কে আল কুরআনে স্পষ্ট ভাবে বলা আছে৷তাই এরকম বইয়ের চেয়ে কুরআনের অনুবাদ পড়ার গুরুত্ব বেশি৷