জুম’আর স্বালাতের জন্য দুই আযান দেওয়ার যে নীতি চালু আছে তা সুন্নাত সম্মত নয় । সুন্নাত সম্মত আযান একটি । ইমাম খুৎবা দেওয়ার জন্য যখন মিম্বারে বসবেন , তখন মুয়াযযিন আযান দিবে । (সহীহুল বুখারী , হা/৯১৫ , ৯১৬) । রাসূল (صلى الله عليه وسلم) , আবু বকর ও উমার (رضي اللّه عنه) এর আমলে এবং উসমান (رضي اللّه عنه) এর খেলাফতের প্রথমাংশে জুম’আর আযান একটিই ছিল । অতঃপর মানুষের সংখ্যা যখন বেড়ে গেল , তখন উসমান (رضي اللّه عنه) মসজিদে নববীর অনতি দূরে যাওরা নামক বাজারে জুম’আর পূর্বে আরেকটি আযান চালু করেন । (সহীহুল বুখারী , হা/৯১২ ; মিশকাত হা/১৪০৪)
উসমান (رضي اللّه عنه) যে কারণে তৃতীয় আরেকটি আযান চালূ করেছিলেন , কোথাও যদি উক্ত কারণ বিদ্যমান থাকে , তাহলে তা এখনও জায়েয । কারণ খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতও অনুসরণযোগ্য । উসমান (رضي اللّه عنه) এর আযান যদি সকল মসজিদের জন্য করণীয় হতো , তাহলে তিনি মক্কায় চালূ করলেন না কেন । অনুরুপ অন্যান্য মসজিদে চালু করলেন না কেন ? আলী (رضي اللّه عنه) এর আমলেও উক্ত আযান অন্য কোথাও কেন চালু হয়নি ? এমনকি মক্কাতেও চালু হয়নি । বর্তমানে আমরা উক্ত আযান চালূ করে বুঝাতে চাচ্ছি যে আমরা সাহাবীদের চেয়ে বেশী দ্বীনদার ।
ওমর ইবনু আল ফাকেহানী (১২৫৬-১৩৩৪খৃঃ) বলেন যে , ডাক আযান প্রথম বছরায় চালু করেন যিয়াদ এবং মক্কায় চালু করেন হাজ্জাজ । আর আমার কাছে এখন খবর পৌঁছেছে যে , নিকট মাগরীবে অর্থাৎ আফ্রিকার তিউনিস ও আলজেরিয়ার পূর্বাঞ্চলের লোকদের নিকট কোন আযান নেই , মূল এক আযান ব্যতীত । (মিরআত ২/৩০৭) যা আজও চালু আছে । আলী (رضي اللّه عنه) এর রাজধানী কূফাতেও এই আযান চালু ছিল না । (তাফসীরে কুরতুবী , জুম’আ , আয়াত ৯)
ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন , উমাইয়া খলীফা হেশাম বিন আব্দুল মালেক সর্বপ্রথম উসমানী আযানকে ‘যাওরা’ বাজার থেকে এনে মদীনার মসজিদে চালু করেন । (মিরআত) অতঃপর হেশাম খুৎবাকালীন মূল আযানকে মসজিদের মিনার থেকে নামিয়ে ইমামের সম্মুখে নিয়ে আসলেন । (আওনুল মাবুদ) এভাবে হাজ্জাজী ও হেশামী আযান সর্বত্র চালু হয়েছে । অতএব বর্তমানে যে আযান চলছে সেটা রাসূল (صلى الله عليه وسلم) এর আযান নয় , উসমান (رضي اللّه عنه) এর আযানও নয় । সুতরাং উক্ত বিদ’আতী আযান অবশ্যই পরিত্যাজ্য । রাসূল (صلى الله عليه وسلم) এর যুগে যে আযান চালূ ছিল সেই আযানে ফিরে যেতে হবে
Reviews
There are no reviews yet.