জামাতে নামাজ আদায় করার তাগিদ দিয়ে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৪৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘জামাতে নামাজের ফজিলত একাকী নামাজের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি।’ (সহিহ বুখারি) রাসুলুল্লাহ (সা.) সারা জীবন জামাতের সঙ্গেই নামাজ আদায় করেছেন। এমনকি ইন্তিকালপূর্ব অসুস্থতার সময়ও জামাত ছাড়েননি। সাহাবায়ে কেরামের পুরো জীবনও সেভাবে অতিবাহিত হয়েছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর : ৬২৪)
মাসআলা : প্রতি নামাজেই ইমামের সঙ্গে একজন মুক্তাদি হলেও জামাত হয়ে যায়। (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর : ৬১৮, ইবনে মাজাহ ৯৬২)
মাসআলা : ইমামের সঙ্গে তিনজন মুক্তাদি হলে জুমার নামাজ আদায় হয়ে যায়। (আবদুর রাজ্জাক ফি মুসান্নাফিহি : ৩/২৯৯)
মাসআলা : পুরুষের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই জামাতে আদায় করা সুন্নাতে মুআক্কাদা, যা ওয়াজিবের সঙ্গে তুলনীয়। (অর্থাৎ এটি ওয়াজিবের কাছাকাছি) (মুসলিম, হাদিস : ১০৪৬)
কোনো ওজর বা অপারগতা ছাড়া জামাতে শরিক না হওয়া বৈধ নয়। যে ব্যক্তি জামাত ত্যাগে অভ্যস্ত হয়ে যায়, সে গুনাহগার হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬৪)
মাসআলা : জুমা ও দুই ঈদের জন্য জামাত শর্ত। জামাত ছাড়া জুমা এবং ঈদের নামাজ সহিহ হবে না। (আবু দাউদ, হাদিস : ৯০১)
মাসআলা : তারাবি ও সূর্য গ্রহণের নামাজ সুন্নতে মুআক্কাদায়ে কেফায়া। (অর্থাৎ এমন সুন্নতে মুআক্কাদা, যা সমাজের কিছু লোক আদায় করলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে।) (বুখারি, হাদিস নম্বর : ১৮৭৩)
মাসআলা : রমজানে বিতরের নামাজ জামাতে আদায় করা মুস্তাহাব। (মুআত্তা, হাদিস : ২৩৩)
মাসআলা : রমজান ছাড়া অন্য সময় বিতর নামাজ জামাতে পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস : ১২০১)
তবে হ্যাঁ, হঠাৎ কোনো সময় দু-একবার জামাতে পড়ে নেওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। (তাইসিরুত তাহরির ৪/১১৭)
মাসআলা : চন্দ্রগ্রহণের নামাজ জামাতে পড়া মাকরুহ। (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর : ৯৮৯)
মাসআলা : নফল নামাজগুলো এলান করা, দাওয়াত দেওয়া এবং জামাত কায়েম করা মাকরুহ। (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর : ৬৮৯)
তবে যদি কোনো দাওয়াত আর এলান ছাড়া মুসল্লি একত্রিত হয়ে যায়, তখন আজান-ইকামত ছাড়া নফল নামাজ পড়া হলে মাকরুহ হবে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর : ৪০৭)
মাসআলা : মহল্লার যে মসজিদে ইমাম ও মুয়াজ্জিন আছে, তাতে আজান-ইকামত দিয়ে একবার জামাত পড়ার পর দ্বিতীয় জামাত করা মাকরুহ। (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর : ৬০৮)
তবে প্রথম জামাত থেকে পরের জামাতের অবস্থা যদি ভিন্ন হয়, যেমন প্রথম জামাতের ইমাম ও পরের জামাতের ইমামের দাঁড়ানোর স্থান ভিন্ন হয়, তাহলে তা মাকরুহ নয়। (মুতালেবে আলিয়া : ৫১৯)
Reviews
There are no reviews yet.