কিয়ামাত দিবসে নাবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর শাফায়াতের অন্তর্ভুক্ত হবেন কে?
বই: কিয়ামাত দিবসে নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শাফা‘য়াতের অন্তর্ভুক্ত হবেন কে?
লেখক: আকমাল হুসাইন
প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৪৭
ধরণ: পেপার ব্যাক
বইটি কিনতে কিল্ক করুন: কিয়ামাত দিবসে নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শাফা’য়াতের অন্তর্ভুক্ত হবেন কে?
আরো জানতে কিল্ক করুন: তাওহীদ পাবলকিশেন্স
কিয়ামাত দিবসে নাবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর শাফায়াতের অন্তর্ভুক্ত হবেন কে?
লেখক: আকমাল হুসাইন
প্রকাশনী: তাওহীদ পাবলিকেশন্স
সূচীপত্র
বিষয়
অবতরণিকা
সব কিছুর আগে আমাদের জানা প্রয়োজন শাফায়াত শব্দের অর্থ কি?
কিয়ামাত দিবসে মানুষ শাফায়াতের মুখাপেক্ষী হবে কেন?
শাফা’য়াতের প্রকার
নিজ উম্মাতের জন্য নাবী(সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শাফা‘য়াত
বিনা হিসাবে যারা জান্নাত লাভ করার সুযোগ লাভ করবে তাদের সংখ্যা উল্লেখ করেও কয়েকটি সহীহ্ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো সত্তর হাজারের প্রত্যেক জনের সাথে সত্তর হাজার করে জান্নাত দেয়া মর্মে বর্ণিত সহীহ্ হাদীস
নাবী(সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শাফায়াত কার জন্য?
এ শাফা’য়াতের অন্তর্ভুক্ত হবে তারাই যারা আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন (শির্ক) করেনি
রসূল (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুপারিশের অন্তর্ভুক্ত হবেন কাবীরাহ গুনাহের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা
কারা তাঁর শাফা’য়াত লাভ করা থেকে বঞ্চিত হবে?
বিদ’আতের সাথে জড়িত ব্যক্তিরাও শাফা’য়াত লাভ করা থেকে বঞ্চিত হবে
বিদ্’আতী নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর হাওযে কাওসারের পানি পান করা হতে বঞ্চিত হবে এবং তাকে তিনি বলবেন: দূর হয়ে যা, দূর হয়ে যা
কিভাবে (বা কোন কোন কর্মের দ্বারা) রসূল(সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- শাফায়াত লাভ করা যাবে?
কিয়ামাতের দিন নাবীগণ ছাড়া অন্য কারা এবং কোন কোন বস্তু শাফায়াত করার সুযোগ লাভ করবে?
শাফা’য়াতের ব্যাপারে বর্ণিত কতিপয় বানোয়াট ও দুর্বল হাদীস যেগুলো বর্ণনা করা থেকে প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা উচিত
কিয়ামাত দিবসে নাবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর শাফায়াতের অন্তর্ভুক্ত হবেন কে?
অবতরণিকা
আলহামদুলিল্লাহি অসলালাতু অস্সালামু আলা রসূলিল্লাহি ওয়া-বা’দ ।
আমরা আলেম অলামাদের দু’আর মধ্যে শুনে থাকি: হে আল্লাহ্! কিয়ামাত দিবসে নাবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর শাফায়াত লাভ করার তাওফীক দান করো, তাঁর শাফা’য়াতের অন্তর্ভুক্ত করো। কিন্তু কেন? এ শাফায়াতের গুরুত্ এতো বেশী কেন? আসুন আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানার চেষ্টা করি ।
আমরা যদি আল্লাহ্ রব্বুল আলামীনের বাণীর দিকে দৃষ্টি দেয় তাহলে দেখব শাফায়াত সম্পর্কে একাধিক আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ্ তা’আলা সূরা আল- মুদাসসিরের মধ্যে বলেছেন:
فَمَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِينَ
“কোন সুপারিশকারীর সুপারিশ তাদের কোনই উপকার করবে (কাজে আসবে) না।” (আয়াত: ৪৮)।
এ আয়াতে তাদের সম্পর্কেই বলা হয়েছে যারা সলাত আদায় করতো না, মিসকীনদেরকে খাওয়ার দিতো না, সত্যের বিরুদ্ধে অমূলক আলোচনায় লিপ্ত থাকতো, বিচার দিবসকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতো আর এ অবস্থায়ই মৃত্যু হাযির হয়ে গেছে। দেখুন সূরা আল-মুদাসসির (আয়াত নম্বর ৪৩-৪৭)।
আল্লাহ্ তা’আলা অন্যত্র বলেন:
يَوْمَئِذٍ لا تَنْفَعُ الشَّفَاعَةُ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ وَرَضِيَ لَهُ قَوْلاً
“সেদিন কারো কোন রকম সুপারিশই কাজে আসবে না, অবশ্য যাকে করুনাময় আল্লাহ্ তা’আলা অনুমতি দেবেন এবং যার কথায় তিনি সন্তুষ্ট হবেন, তার কথা আলাদা।” (সূরা ত্বহা: ১০৯)।
কিয়ামাত দিবসে নাবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর শাফায়াতের অন্তর্ভুক্ত হবেন কে?
Reviews
There are no reviews yet.