#যাকাত ইসলামের তৃতীয় রুকন স্তম্ভ / যাকাত আদায় না করার পরিণাম /কীভাবে যাকাত দিবে
কালেমা নামাজ পর ই যাকাত
ফরজ ইবাদত সালাতের পর সাওম এর আগে যাকাতের স্থান , তাহলে ভাবুন যাকাত কত বড় ইবাদত গুররুতপূর্ণ স্তম্ভ , ।বর্তমান সময় অনেকে ধনি লোককে কে দেখা যায় যাকাত কে তেমন গুরুত্ত দেয় না অথচ সে নামাজি , রোজা রাখে। অথচ সাওম এর আগে যাকাতের স্থান । যাকাত না দিলে তার জাহান্নামে যাওয়া লাগবে তার কোন হুশ ই নাই । যাকাত ইসলামের তৃতীয় রুকন স্তম্ভ ,
সালাত বাদ দিলে যেমন কঠিন শাস্তি আছে রোজা না রাখলে যেমন শাস্তি আছে তেমনি যাকাতের শাতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর । কোরআন মাজিদের ৩২ জায়গায় যাকাতের কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে ২৮ জায়গায় নামাজ ও জাকাতের কথা একত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
#যাকাত না দেয়ার শাস্তি ১/
যারা স্বর্ণ –রোপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যায় করে না আল্লাহর পথে ,তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। সে দিন (কিয়ামতের দিন) জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তা দ্বারা তাদের ললাট,পার্শ্ব ও পৃষ্টদেশকে দগ্ধ করা হবে (সেদিন বলা হবে ) এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা রেখেছিলে, সুতরাং এক্ষণে আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার ।
(সুরা তওবাহঃ ৩৪-৩৫) ।
অত্র আয়াতে যারা জাকাত আদায় করে না তাদের কঠিন শাস্তি কথা বলা হয়েছে শাস্তির ই সু সংবাদ হতে পারে, মুলত আল্লাহ তাদের বিদ্রুপ করে এমন কথা বলেছেন
শাস্তি কথা ২
আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণীত , তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যাকে আল্লাহ সম্পদ দান করেছেন কিন্তু সে এর যাকাত আদায় করেনি, কিয়ামতের দিন তার সম্পদকে টেকো মাথা বিশিষ্ট বিষধর সাপের আকৃতি দান করে তার গলায় ঝুলিয়ে দেয়া হবে। সাপটি তার মুখের দুপার্শ্ব কামড়ে ধরে বলবে, আমি তোমার সম্পদ , আমি তোমার জমাকৃত মাল । তারপর রসূলুল্লাহ (সাঃ) তিলাওয়াত করেনঃ আল্লাহ যাদেরকে সম্পদশালী করেছেন অথচ তারা সে সম্পদ নিয়ে কার্পর্ণ্য করে, তাদের ধারণা করা উচিৎ নয় যে, সেই সম্পদ তাদের জন্য কল্যা্ণ বয়ে আনবে বরং উহা তাদের জন্য অকল্যানকর হবে । অচিরেই কিয়ামত দিবসে যা নিয়ে তারা কৃপণতা করেছে সে সমস্ত ধন সম্পদকে কিয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ী বানিয়ে পরানো হবে । (সহীহ বুখারীঃ ১৩১৮) ।
#HIT POINT: দুনিয়ার সম্পদের মোহে পড়ে এরা যাকাত আদায় করা থেকে বিরত থাকছে , অথচ তাদের সম্পদ বারে না অন্য দিকে এই সম্পদ তদের জাহান্নামের আগুনের কারন হবে সেখানে বিষধর সাপরে কামরে কাত্রাতে হবে ।একজন লকের ১ লক্ষ্য টাকা সে ২৫০০ টাকা জাকাত দিল না আল্ললাহ , এমন রোগ অসুখ দিল তার ঐ বিপদ /রোগের কারনে ২০/৩০০০ হাজার টাকা নেমে গেল শুধু যাকাত না দেয়ার কারনে সে বুজল না , তার এই বিপদ/ রোগের কারন ছিল যাকাত না দেয়া ।।
আর একটি কারনে এমন টাকা নষ্ট হয়ে যায় সেটা অবৈধ উপায়ে অর্জন/ আয়
শাস্তি কথা ৩
#কিয়ামতের বিভিষিকাময় দিবসে শুধু সর্প দংশনের মাধ্যমে শাস্তির পরিসমাপ্তি ঘটানো হবে না । জাহান্নামের জলত্ব আগুনে জ্বলে পুড়ে তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে হবে । নামায রোযা হজ্জ কুরবানী তাসবীহ তাহলীলের মত সৎ কাজ করেও এমনি কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে শুধুমাত্র যাকাত আদায় না করার কারণে
#আর আল্লাহ যাদেরকে সম্পদশালী করেছেন অথচ তারা সে সম্পদ নিয়ে কার্পণ্য করে , তাদের ধারণা করা উচিৎ নয় যে , সেই সম্পদ তাদের জন্য কল্যান বয়ে আনবে , বরং উহা তাদের জন্য অকল্যাণকর হবে । অচিরেই কিয়ামত দিবসে , যা নিয়ে তারা কৃপণতা করেছে সে সমস্ত ধন-সম্পদকে কিয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ি বানিয়ে পরানো হবে । আর আল্লাহ হচ্ছেন আসমান জমীনের পরম সত্ত্বধিকারী । আর যা কিছু তোমরা কর; আল্লাহ সে সম্পর্কে জানেন। (সুরা আল ইমরানঃ১৮০)
#যাকাত যখন ফরজ হয়ঃ
সোনা ৭.৫ ভরি বা তদূর্ধ্ব, রুপা ৫২.৫ ভরি বা তদূর্ধ্ব অথবা এর সমমূল্যের সম্পদ ঘরে ১ বসর জমা থাকলে , নগদ টাকা, বিনিময়যোগ্য যা বসর ব্যাংক এ বা বাড়িতে গচ্ছিত আছে তার উপর যাকাত ফরজ ।জাকাতযোগ্য সম্পদের ‘রুবউ উশর’ অর্থাৎ ২.৫ শতাংশ (শতকরা আড়াই ভাগ/চল্লিশ ভাগের এক ভাগ) জাকাত প্রদান করতে হবে।একজনের ১ লক্ষ্য টাকা জমা ছিল ২.৫ % হারে হলে ২৫০০ টাকা জাকাত দিতে হবে ।জাকাত চান্দ্রবর্ষের হিসাব অনুযায়ী আদায় করতে হয়। চান্দ্রবর্ষ ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিনে হয়। এই কারনে আরবি রমজান মাস হিসেবে করলে সহজ হয় , আর রমজানে যে কোন কিছু দেয়ার সোওয়াব েশি এই কারনে জাকাত রমজানে বেশির ভাগ মানুশ দেয় ।
Reviews
There are no reviews yet.