Parturient ut id tellus vulputatre ac ultrlices a part ouriesnt sapien dignissim partu rient a a inter drum vehicula. Ornare metus laoreet tincidunt eros rolem tristique pretium malada.
Cras rhoncus vivamus luctus platea arcu laoreet selm. Curae est condenectus sed hac a parturient vestibulum.
হাদীসের ভেতর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকার একটি হাদীসে কুদসী। যেসব হাদীস আল্লাহ তা‘আলার সাথে সম্পৃক্ত করা হয় তাই হাদীসে কুদসী। হাদীসে কুদসীকে হাদীসে ইলাহি, অথবা হাদীসুর রাব্বানি ইত্যাদি বলা হয়। কারণ, এসব হাদীসের সর্বশেষ স্তর আল্লাহ তা‘আলা। “আমরা আপনার প্রশংসার তসবিহ পাঠ করি ও আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করি”।
আল্লাহর এক নাম قُدُّوس অর্থ পবিত্র অথবা বরকতময় অথবা তিনি পবিত্র বৈপরীত্য, সমকক্ষ ও সৃষ্টিজীবের সাদৃশ্য থেকে। البيت المقدَّس অর্থ ‘শির্ক থেকে পবিত্র ঘর’। হাদীসে কুদসী যেহেতু মহান আল্লাহর পবিত্র সত্ত্বার সাথে সম্পৃক্ত, তাই এ প্রকার হাদিসকে الحـديث القُـــدُسي বলা হয়। নবী ﷺ কুরআনুল কারিম ব্যতীত যে হাদীস তার রবের পক্ষ থেকে সরাসরি বর্ণনা করেন, অথবা জিবরীলের মাধ্যমে তার পক্ষ থেকে বর্ণনা করেন তাই হাদীসে কুদসী। রাসূলুল্লাহ ﷺ যেহেতু সংবাদ দিচ্ছেন, তাই এ প্রকারকে হাদীস বলা হয়। আল্লাহ তা‘আলার সাথে সম্পৃক্ত করা হয় হিসেবে কুদসী বলা হয়।
বিভিন্ন হাদীসগ্রন্থ যেমন বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ ও মুওয়াত্তা মালিক থেকে হাদীসে কুদসী সংগ্রহ করে নিম্নোক্ত বইটি সংকলিত হয়েছে। এটি সংকলন ও অনুবাদ করেছেন ‘আল মাসরুর’। এটির সুনান আরবাআ (চারটি সুনান গ্রন্থ)’র তাহকীক নেয়া হয়েছে শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহিমাহুল্লাহ) এর তাহকীক থেকে বাংলা অনুবাদকৃত এই হাদীসে কুদসী সমগ্র বইটি সম্পাদনা করেছেন শাইখ মুহাম্মাদ ইবরাহীম আল-মাদানী।
হাদীসে কুদসী সমগ্র
বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনু মাজাহ ও মুওয়াত্তা মালিকে বর্ণিত
আল্লাহ তাআলার কিছু বাণী ওয়াহিয়ে মাতলূ দ্বারা জিবরীল আমীনের মাধ্যমে বর্ণিত না হয়ে এর ভাবার্থ ইলহাম বা স্বপ্নযোগে কিংবা জিবরীল আমীনের মাধ্যমে নাবী আলায়হি কে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। পরে নাবী (সালমা) ঐ ভাবার্থকে নিজের ভাষায় প্রকাশ করেছেন। ঐ ভাবার্থের শব্দগুলো স্বয়ং আল্লাহ তাআলার নয় বলে ওগুলোকে কুরআন হিসেবে ধরা হয়নি। কিন্তু এর ভাবার্থগুলো যেহেতু নাবী (সা)-এর, তাই এর নাম হাদীস্ব। এজন্যই আল্লাহ তাআলার উক্তিমূলক ভাবার্থ এবং ঐ উক্তির বর্ণনায় রসূল (সালামাই)-এর শব্দ . উভয়কে এক কথায় হাদিসে কুদসি বলা হয়।
ওয়া সামার
যে সমস্ত আলেমগণ হাদীসে কুদসী সমগ্রর সংকলন করেছেন তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে :
আল-হামদু লিল্লাহ। আল্লাহু তাআলার অশেষ রহমাতে ভিন্ন আঙ্গিকে হাদীসে কুদসী সমগ্র গ্রন্থের নতুন সংস্করণ বের হলো। হাদীস্ব গ্রন্থসমূহে যে সমস্ত হাদীসে কুদসী সমগ্র পাওয়া যায় তন্মধ্যে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ গ্রন্থ বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনু মাজাহ ও মুওয়াত্তা মালিকে বর্ণিত হাদীস্নগুলো চয়ন করে এখানে সংকলন করা হয়েছে। তবে এর বাইরেও আরও বহু হাদীসে কুদসী সমগ্র রয়েছে। বিশেষ করে প্রসিদ্ধ ৯টি হাদীসগ্রন্থের অন্যতম মুসনাদ আহমাদের হাদীস্নসমূহ এখানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। কেননা মুসনাদ আহমাদ হচ্ছে একটি বিশাল হাদীস্বগ্রন্থ। এর হাদীস্বগুলো এখানে সন্নিবেশিত করলে গ্রন্থটির কলেবর অত্যধিক বড় হয়ে যেত। তবে ভবিষ্যতে ইনশা আল্লাহু সময় সুযোগ করে উক্ত হাদীস্বগুলোও অত্র গ্রন্থের আরেকটি খণ্ড করে সন্নিবেশিত করার আশা রাখি। আশা করি এর থেকে পাঠকবৃন্দ উপকৃত হবেন।
বাংলা বানান নীতিতে আরবী বিশুদ্ধ উচ্চারণের লক্ষে তাওহীদ পাবলিকেশন্স এর উদ্ভাবিত নিজস্ব বানানরীতি অনুসরণ করা হয়েছে। আশাকরি তাতে পাঠকবৃন্দ বিকৃত উচ্চারণ থেকে বহুলাংশে বেঁচে থাকতে পারবেন।
হাদীসের তাখরীজে হাদীস্ত্রের যে নম্বরগুলো ব্যবহার করা হয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিস্ময়কর হাদীস্নগ্রন্থের শব্দকোষ অভিধান আল- মু’জামুল মুফাহরাস লিআলফাযিল হাদীস্ত্রের সঙ্গে মিল রেখে। যেমন সাহীহুল বুখারীর নম্বর ফাতহুল বারীর নম্বরের সঙ্গে, সাহীহ মুসলিমের নম্বর ফুয়াদ আব্দুল বাকীর নম্বরের সঙ্গে মিলবে, যা আল-মু’জামুল মুফাহরাস লিআলফাযিল হাদীস অনুসরণ করা হয়েছে। বাকীগুলোও সেই নম্বরগুলো শুধুমাত্র ঐ সকল হাদীস্ত্রের সাথে যে কোন ধরনের মিল থাকার কারণেই উল্লেখ করা হয়েছে। এমন ভাবার কোন কারণে নেই যে, উক্ত নম্বরের সবগুলো হাদীসই হাদীসে কুদসী সমগ্র। এখানে শুধুমাত্র কুতুবুত তিসআহ বা নয়টি হাদীসগ্রন্থের আলোকেই তাখরীজ করা হয়েছে।
অধ্যায় নিরুপন করা হয়েছে মূল হাদীস গ্রন্থের অধ্যায়ের আলোকে। যেন কোন বিষয়বস্তুর অধীনে সেই হাদীসগুলো বর্ণিত হয়েছে তা সহজেই অনুধাবন করা যায়।
বিনীত
প্রকাশক
হাদীসে কুদসী সমগ্র
সূচীপত্র
বিষয়:
সহীহুল বুখারী, মোট কুদ্সী হাদীস সংখ্যা ১৩১টি আমালের দিক থেকে ঈমানদারদের শ্রেষ্ঠত্বের স্তরসমূহ
নির্জনে বিবস্ত্র হয়ে গোসল করা এবং আড় করে গোসল করা। আড় করে গোসল করাই উত্তম।
আসরের সালাতের মর্যাদা
সূর্যাস্তের পূর্বে যে ব্যক্তি আসরের এক রাকআত পেল সাজদা ফাযীলাত
সালাম ফিরানোর পর ইমাম মুক্তাদিগণের দিকে ঘুরে বসবেন
আল্লাহু তাআলার বাণী: আমার প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমার এ কথা আগেই স্থির হয়ে গেছে।
আল্লাহুর ইচ্ছা ও চাওয়া
আল্লাহু তাআলার বাণী: তাঁর কাছে সুপারিশ কোন কাজে আসবে না, তবে তাদের ছাড়া যাদেরকে তিনি অনুমতি দেবেন। ……আর এখানে এ কথা বলা হয়নি, তোমাদের প্রতিপালক কী সৃষ্টি করেছেন?
জিব্রীলের সঙ্গে রব্বের কথাবার্তা, ফেরেশ্তাদের প্রতি আল্লাহুর আহ্বান
আল্লাহুর বাণী: তারা আল্লাহুর ওয়াদাকে বদলে দিতে চায়। কিয়ামাতের দিনে নাবী ও অপরাপরের সঙ্গে মহান আল্লাহুর কথাবার্তা
জান্নাতবাসীদের সঙ্গে রব্বের কথাবার্তা
আল্লাহুর বাণী: বল, তোমরা সত্যবাদী হলে তাওরাত আন এবং পাঠ কর।
নাবী (সাল) কর্তৃক তাঁর রব্বের থেকে রিওয়ায়াতের বর্ণনা
আল্লাহুর বাণী: বস্তুত এটি সম্মানিত কুরআন, সংরক্ষিত
ফলকে লিপিবদ্ধ। শপথ তূর পর্বতের। শপথ কিতাবের, যা লিখিত আছে-
আল্লাহুর বাণী: আল্লাহুই সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে আর .. তোমরা যা তৈরি কর সেগুলোকেও। আমি সব কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে-
সাহীহ মুসলিম, মোট কুদ্সী হাদীস সংখ্যা ৮০টি যে ব্যক্তি বলে ‘আমরা বৃষ্টি লাভ করেছি ‘নক্ষত্রের গুণে’ তার কুফরীর বর্ণনা
বান্দা যখন সৎকর্মের নিয়্যাত করে তার তখন সেটার স্নাওয়াব (লিপিবদ্ধ) করা হয়। আর যখন কোন পাপকাজের নিয়্যাত করে তা লিপিবদ্ধ করা হয় না (যতক্ষণ না তা কাজে পরিণত করে)
ঈমানের মধ্যে ওয়ায়াসা সৃষ্টির ব্যাপারে এবং কারো অন্তরে যদি তা সৃষ্টি হয় তবে সে কী বলবে?
ফরয সালাত ও রাসূল আলায়হি -এর মি’রাজ সম্পর্কে আখিরাতে মু’মিনগণ তাদের মহান প্রভুকে দেখতে পাবে আল্লাহুর দর্শন লাভের উপায় সম্পর্কে জ্ঞানার্জন
শাফাআত ও তাওহীদপন্থীদের জাহান্নাম থেকে উদ্ধার লাভের প্রমাণ
জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ ব্যক্তি সর্বনিম্ন জান্নাতী, সেখানে তার মর্যাদা
উম্মতের জন্য নাবী (সাঃ)-এর দুআ’ ও তাদের প্রতি মায়া- মমতায় তাঁর ক্রন্দন
আল্লাহু তাআলা আদাম কে বলবেন: যারা জাহান্নামে প্রেরিত হয়েছে তাদের প্রত্যেক এক হাজারের মধ্যে নয়শত নিরানব্বই জনকে বের করে আনো
প্রতি রাকআতে সূরা ফাতিহা পড়া অপরিহার্য, কেউ যদি সূরা ফাতিহা পড়তে বা শিখতে সক্ষম না হয়, তবে সে যেন তার সুবিধামত স্থান থেকে ক্বিারা’আত পাঠ করে নেয়
ফজর ও আস্ সালাতদ্বয়ের ফযীলত ও এ দু’টির প্রতি যত্নবান হওয়া
শেষ রাতে যিকর ও প্রার্থনা করা এবং দুআ’ কবূল হওয়া সম্পর্কে
দানশীলতার ফাযীলাত
সিয়ামের ফাযীলাত
হাজ্জ, উমরাহ ও আরাফাহ দিবসের ফাযীলাত
গরীবকে সময় দেয়ার ফাযীলাত এবং ধনী ও গরীবের থেকে আদায়ের ব্যাপারে সহানুভূতি প্রদর্শন
শহীদদের আত্মা জান্নাতে থাকে, তারা সেখানে জীবিত এবং নিজেদের প্রভুর নিকট থেকে তারা রিযক পেয়ে থাকে
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম। যেসব জিনিসের ওপর এ ধরনের ছবি রয়েছে তা ব্যবহার করা হারাম। যে ঘরে ছবি এবং কুকুর থাকে তাতে ফেরেশতা প্রবেশ করে না।
যুগ বা সময়কে গালি দেয়া নিষেধ
ইউনুস (আ:) সম্পর্কে নাবী (সা) এর বক্তব্য: কোন বান্দার পক্ষে কখনও এমন বলা উচিত নয় যে, আমি ইউনুস ইবনে মাত্তা না থেকে শ্রেষ্ঠ
আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা অপরিহার্য ও তা ছিন্ন করা হারাম
আল্লাহুর জন্য ভালবাসার ফযীলত
রুগ্ন ব্যক্তির সেবা করার ফযীলত
যুলুম করা হারাম
অহংকার করা হারাম
যখন কোন ব্যক্তিকে আল্লাহু ভালবাসেন ফেরেশতাগণও তাকে ভালবাসেন
আল্লাহুর যিকিরের প্রতি উৎসাহিত করার বর্ণনা
যিকর, দুআ’ র ফযীলত ও আল্লাহুর নৈকট্য লাভ যিকরের মাজলিসের ফযীলত
তাওবাহর প্রতি উৎসাহিতকরণ ও তাওবাহর করার কারণে খুশি হওয়া
আল্লাহুর রাহমাতের ব্যাপকতা এবং তাঁর রাহমাত তাঁর অসন্তোষের উপর বেশী হওয়ার বর্ণনা
বার বার গুনাহ করা ও তাওবা করা সত্ত্বেও তাওবা কবূল হওয়ার বর্ণনা
হত্যাকারীর তওবা কবূল হওয়ার বর্ণনা যদিও তার হত্যা অধিক হয়ে থাকে
কিয়ামাত, জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা
কাফির কর্তৃক জমিন ভর্তি স্বর্ণ ফিদইয়া দিতে চাওয়া জান্নাত ও এর নিয়ামতরাজি এবং অধিবাসীদের বর্ণনা জান্নাতীদের উপর আল্লাহ্র সন্তুষ্ট হবেন, কক্ষনো তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন না
অহংকারীরা জাহান্নামে এবং দুর্বল ও অসহায় ব্যক্তিগণ জান্নাতে প্রবেশ করবে
মৃত ব্যক্তির নিকট জান্নাত বা জাহান্নামে তার অবস্থানস্থল
দাজ্জাল, তার গুণাগুণ ও তার সাথে যা থাকবে স্বাক্ষী হিসেবে নিজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই যথেষ্ট ১৩৪. যে ব্যক্তি তার কাজের মধ্যে র্শিক করে
জামেউত তিরমিযী, মোট কুসী হাদীয় সংখ্যা ৫৫টি
আল্লাহু তাআলা তার বান্দাদের উপর কত সালাত ফরয করেছেন
কিয়ামাতের দিন বান্দার নিকট হতে সর্বপ্রথম সালাতের হিসেব নেয়া হবে
১/১. আবূ সাঈদ খুদরী (রা) হতে বর্ণিত। নাবী আলায়াই) বলেছেন : জান্নাতবাসীরা জান্নাতে এবং জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। অতঃপর আল্লাহু তাআলা মালাকদের বলবেন, যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান আছে, তাকে জাহান্নাম হতে বের করে আনো। তারপর তাদের জাহান্নাম হতে এমন অবস্থায় বের করা হবে যে, তারা (পুড়ে কালো হয়ে গেছে। অতঃপর তাদের বৃষ্টিতে বা হায়াতের [বর্ণনাকারী মালিক। মামা। শব্দ দু’টির কোটি এ সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন] নদীতে নিক্ষেপ করা হবে। ফলে তারা সতেজ হয়ে উঠবে, যেমন নদীর তীরে ঘাসের বীজ গজিয়ে উঠে। তুমি কি দেখতে পাও না সেগুলো কেমন হলুদ বর্ণের হয় ও ঘন হয়ে গজায়?১
ড. মুহাম্মদ মুযযাম্মিল আলী
প্রথম প্রকাশ : এপ্রিল ২০১৬ খ্রি.
পরিবেশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স ও দারুল কারার পাবলিকেশন্স
প্রচ্ছদ : পেপার ব্যাক কভার
প্রচ্ছদ মূল্য: ৮০.০০ (আশি) টাকা মাত্র
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১১২
Reviews
There are no reviews yet.