মুখতাসার যাদুল মাআদ
বই: মুখতাসার যাদুল মাআদ
লেখক: হাফেয ইবনুল কায়্যিম (রহিমাহুল্লাহ)
সংক্ষেপণে: মুহাম্মাদ বিদ আবদুল ওয়াহহাব (রহিমাহুল্লাহ)
অনুবাদ: শাইখ আবদুল্লাহ্ শাহেদ আল-মাদানী
সম্পাদক: শাইখ আব্দুন্ নূর আব্দুল জাব্বার, শাইখ আজমাল হোসাইন আব্দুন্ নূর
প্রকাশনায় : তাওহীদ পাবলিকেশন্স
বিষয়: জীবন চরিত ও ইতিহাস
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৫৫৮
কভার: হার্ড কাভার
প্রথম প্রকাশ: নভেম্বর ২০১৪,
তৃতীয় প্রকাশ: ২০২৪
বইটি কিনতে কিল্ক করুন: মুখতাসার যাদুল মাআদ
আরো জানতে কিল্ক করুন: তাওহীদ পাবলকিশেন্স
মুখতাসার যাদুল মাআদ
মূলঃ আল্লামা ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম
সংক্ষেপণেঃ বিপ্লবী সংস্কারক
মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব
অনুবাদঃ
মোঃ আবদুল্লাহ্ শাহেদ আল-মাদানী
[লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, এম, এম, ফার্স্ট ক্লাশ]
সম্পাদনা:
শাইখ আব্দুন্ নূর আব্দুল জাব্বার
শাইখ আজমাল হোসাইন আব্দুন্ নূর
প্রকাশনায়
তাওহীদ পাবলিকেশন্স
ঢাকা-বাংলাদেশ
ভূমিকা
সায়্যিদুল মুরসালীন ও রাহমাতুল্লিল আলামীন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (স)-এর সীরাতে তাইয়্যিবা এমন একটি বিষয়, যে সম্পর্কে বিভিন্ন ভাষায় প্রায় লক্ষাধিক গ্রন্থ রচনা করা হয়েছে। কিয়ামত পর্যন্ত এ মহৎ কর্মের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। এটি এমন একটি বিষয়, যে সম্পর্কে ছোট-বড় একাধিক পুস্তক পড়েও কোন নবী ভক্তের জ্ঞান পিপাসা মিটবেনা । যে যতই পাঠ করুক, এটি দাবী করতে পারবেনা যে, সে এর হক আদায় করতে সক্ষম হয়েছে এবং পবিত্র জীবন-সাগরের মণি-মুক্তা সংগ্রহ করে নিয়েছে। কেননা তাঁর জীবনী সম্পর্কে এত পুস্তক লেখা হয়েছে যে, ইতিহাসে তার নযীর পাওয়া যাবেনা ৷
নবী (স)-এর জীবনী সম্পর্কে অগণিত কিতাব বিদ্যমান থাকার পরও এ বিষয়ে এমন লেখা খুব কমই পাওয়া যায়, যাতে তাঁর হায়াতে তাইয়্যিবা একজন মুসলিমের জন্য উত্তম নমুনা এবং জীবন চলার দিশারী হবে। কেননা তাঁর পবিত্র জীবনী প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির আদর্শ, তাঁর গৃহের প্রদীপ, পথের আলো এবং হেদায়াতের এক পরিপূর্ণ রূপ। যে পর্যন্ত কোন মুসলিমের সামনে রাসূল (স)-এর পবিত্র জীবনী পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট না হবে, ততক্ষণ সে ইসলামকে পরিপূর্ণরূপে বুঝতে সক্ষম হবেনা এবং দীন ইসলামের হুকুম-আহকাম মেনে চলাও তার দ্বারা অসম্ভব। তাঁর পবিত্র জীবনী সম্পর্কে অজ্ঞ মুসলিমের পক্ষে হেদায়াত ও দু’জাহানের কামিয়াবী হাসিল করে মঞ্জিলে মকসুদ পর্যন্ত পৌঁছা সম্ভব নয়। কুরআন মজীদে আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর পবিত্র জীবনী অনুসরণের গুরুত্ব বর্ণনা করে বলেনঃ
“যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তার জন্যে রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ”। (সূরা আহযাব ৩৩ঃ 21 )
রাসূল (স)-এর পবিত্র জীবনী সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান না থাকলে কখনই আমরা তাঁকে আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করতে পারবনা। তাঁর পবিত্র জীবনীর সাগরকে আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম ( ‘মুখতাসার যাদুল মাআদ’ নামে এমন একটি কিতাব দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন, যাতে রাসূল (স)-এর জীবনীকে একটি উত্তম নমুনা ও আদর্শ হিসাবে পেশ করার অক্লান্ত পরিশ্রম করা হয়েছে। এতে তিনি পূর্ণ সতর্কতার সাথে রাসূল-এর জীবনীর প্রায় সকল দিকই উল্লেখ করেছেন। এটিকে তাঁর পবিত্র ও বরকতময় জীবনী, অনুসরণীয় উত্তম আদর্শ, দিবা-রাত্রির আমল, আচার-আচরণ, পবিত্র অভ্যাস ও স্বভাব, চারিত্রিক গুণাবলী এবং যুদ্ধ ও জিহাদসমূহের উপর একটি বিশাল সংকলন হিসাবে গণ্য করা হয়। সেই সাথে এতে আরও রয়েছে, কুরআনের তাফসীর, হাদীসের ব্যাখ্যা, হাদীসের রাবীগণের সমালোচনা ও পর্যালোচনা এবং বের করা হয়েছে রাসূল (স)-এর হাদীস ও নবুওয়াতী জীবনকালে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রবাহ থেকে বিভিন্ন ফিকহী মাসায়েল । তাই যুগে যুগে বিজ্ঞ আলেমগণ এ মুখতাসার যাদুল মাআদ কিতাবটির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে আসছেন। বিজ্ঞ আলেম ও দীনের দাঈ-গণ তাদের বক্তৃতা এবং রচনায় মুখতাসার যাদুল মাআদকে একটি নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স গ্রন্থ হিসাবেও ব্যবহার করে থাকেন। আলেমদের কেউ এটির উপর টীকা লাগিয়েছেন, কেউ এতে বর্ণিত হাদীসগুলোর তাখরীজ ও তাহকীক করেছেন, আবার কেউ বা এটিকে সংক্ষিপ্ত করেছেন।- এরই ধারাবাহিকতায় যুগশ্রেষ্ঠ বিপ্লবী সংস্কারক মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (রহিমাহুল্লাহ) এ মুখতাসার যাদুল মাআদ কিতাবটিকে সংক্ষিপ্ত করেছেন। নাম দিয়েছেন ‘মুখতাসার যাদুল মাআদ’। মূল কিতাবটির ন্যায় এটিও মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে গৃহীত ও সমাদৃত হয়েছে। কারণ মূল কিতাবটি অত্যন্ত বিশাল হওয়ার কারণে প্রত্যেক মুসলিমের পক্ষে সহজভাবে তা সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। এ জন্যই মুখতাসার যাদুল মাআদ কিতাবটিকে সংক্ষিপ্ত করে এক খন্ডে প্রকাশ করার বিশেষ প্রয়োজন ছিল । তাই ইসলামের অন্যতম এক খাদেম ও যুগ শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দেদ শাইখুল ইসলাম আল্লামা মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব মুসলিম সমাজের সেই প্রাণের দাবীটিও পূরণ করে দিয়েছেন। ‘মুখতাসার যাদুল মাআদ’ পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হলেও বাংলা ভাষায় এর নির্ভরযোগ্য কোন অনুবাদ হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। অথচ বাংলাভাষী কোটি কোটি মুসলিমের রয়েছে নবী মুহাম্মাদ (র)-এর প্রতি অগাধ ভালবাসা, তাঁর সুন্নাতে তাইয়্যিবা সম্পর্কে জানার প্রবল আগ্রহ এবং তাঁকে অনুসরণ করে দু’জাহানের কার্যীয়াবী হাসিল করার একান্ত কামনা ও বাসনা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞান পিপাসা নিবারণকারী বাংলায় নির্ভরযোগ্য গ্রন্থের অভাব থাকায় জাতির অধিকাংশ লোকের মধ্যে নবী -এর জীবনী সম্পর্কে নানা কল্পিত কাহিনী, মিথ্যা ও বানোয়াট ঘটনাসমূহ তাঁর পবিত্র জীবনীকে ঘোলাটে করে ফেলেছে এবং বিকৃত অবস্থায় তাঁর পবিত্র সীরাতকে সমাজে তুলে ধরা হচ্ছে। তাঁর সুন্নাতের যথাযথ প্রচার ও প্রসারের অভাবে সমাজ ছেয়ে গেছে শির্ক ও বিদআতে। চতুর্দিকে চলছে ইসলামের নামে অনৈসলামিক কর্মকান্ড, কুসংস্কার, অপসংস্কৃতি, নবী প্রেমের দাবীদারদের রবীউল আওয়ালের গান, আশেকে রাসূলদের শির্ক-বিদআতী নানা আয়োজন, পীর তন্ত্রের আজব লীলা এবং সীরাত ও মিলাদ মাহফিলের নামে অগণিত অনুষ্ঠান। বাংলাভাষী মুসলিম সমাজে নবী (স)-এর পবিত্র জীবনী ও সুন্নাতে তাইয়্যিবার জ্ঞান যে অপর্যাপ্ত, তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তাই বাংলা ভাষায় মুখতাসার যাদুল মাআদ বা এ জাতিয় কিতাবের অনেক আগেই অনুবাদ হওয়ার প্রয়োজন ছিল। বাংলার যমীনে তাওহীদ ও সুন্নাত ভিত্তিক একমাত্র ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস দীর্ঘ দিন যাবৎ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির মুকাবেলা করে বাংলার মুসলিম জনগণকে তাওহীদ ও সুন্নাতে রাসূলের অনুসরণের প্রতি আহবান জানিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় জমঈয়তের সৌদি আরব শাখার পক্ষ হতে মুখতাসার যাদুল মাআদের অনুবাদ প্রকাশ করার উদ্যোগ নেয়া হয়। নবী (স)-এর জীবনী সম্পর্কে এবং ইসলামের সকল বিষয়ে আমার যথেষ্ট অজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও এ বিশাল কাজটির দায়িত্ব অর্পিত হয় আমার উপর।
রাসূল (স)-এর পবিত্র জীবনী ও সীরাতে নববীর খেদমতে অংশ নেয়ার বাসনায় আমি এ পবিত্র কাজে হাত দেই। অল্প সময়ের মধ্যে কাজটি সমাধা হওয়াতে দয়াময় আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। হে আল্লাহ্! তুমি আমার এ খেদমত কবুল কর এবং পরকালে এটিকে আমার নাজাতের উসীলা বানাও । আমীন!
আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী
ভূমিকা
সূচীপত্র
- আল্লামা ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম -এর সংক্ষিপ্ত জীবনী গ্রন্থকারের সংক্ষিপ্ত ভূমিকা
- আল্লাহ্ তা’আলা নিজের জন্য কেবল পবিত্র বস্তুই পছন্দ করেন
- নবী (সা) এর হেদায়াত সম্পর্কে জানা আবশ্যক
- অযুর ক্ষেত্রে রাসূল (সা)-এর হেদায়াত
- মোজার উপর মাসেহ করা ও তার সময়সীমা তায়াম্মুম করার বিধান ও পদ্ধতি নবী (স.)-এর নামাযের পদ্ধতি নামাযে নবী (সা.)-এর কিরাআত
- ফজরের কিরাআত
- যোহরের কিরাআত
- আসরের কিরাআত
- মাগরিবের কিরাআত
- ইশার কিরাআত
- জুমআর নামাযের কিরাআত
- দুই ঈদের নামাযের কিরাআত
- একই নামাযের দু রাকআতে একই সূরা পাঠ করা এবং দ্বিতীয় রাকআতের কিরাতের চেয়ে প্রথম রাকআতের কিরাআত লম্বা করা
- নামাযে নবী (স)-এর রুকূর পদ্ধতি
- নামাযে নবী (স)-এর সিজদা এবং দু সিজদার মাঝখানে বসার পদ্ধতি কেমন ছিল?
- তিন বা চার রাকআতবিশিষ্ট নামাযের প্রথম তাশাহহুদে বসার ক্ষেত্রে নবী (স)-এর সুন্নাত
- নামাযের মধ্যে দু’আ করা
- নামাযীর দৃষ্টি কোন্ দিকে থাকবে?
- দীর্ঘ করে নামায পড়ার জন্য দাঁড়ানোর পরও কোন কারণে নামায সংক্ষিপ্ত করা
- নামাযে সামান্য কাজ করা
- জুতা পরিহিত অবস্থায় নামায পড়া
- ফরয নামাযে কুনুত পড়া সাহু সিজদার বিবরণ
- নামাযে চোখ বন্ধ রাখা
- সালাতের পর যিক্র-আযকার
- দেয়ালের কাছাকাছি দাঁড়ানো এবং সামনে সুতরাহ স্থাপন করে নামাযে দাঁড়ানো
- নবী (সা.)-এর সুন্নাত নামাযগুলো কেমন ছিল?
- মাগরিবের পূর্বেও সুন্নাত রয়েছে
- নফল ও সুন্নাত নামায বাড়ীতে পড়া
- বিতর ও ফজরের দু রাকআত সুন্নাতের গুরুত্ব এবং তাতে সূরা কাফেরুন ও সূরা ইখলাস পড়ার হিকমত
- ফজরের সুন্নাত নামাযের পর ডান কাতে শয়ন করা
- নবী (সা)-এর রাতের বা তাহাজ্জুদ নামায
- নবী (সা) কয়েক পদ্ধতিতে বিতর নামায পড়তেন বিতর নামাযের সময়
- বিতর নামাযে দু’আ কুনুত পড়া
- তারতীলের সাথে কুরআন পাঠ করা
- নবী (সা)-এর চাশতের নামায
- সিজদায়ে শোকর আদায়ের ক্ষেত্রে তাঁর সুন্নাত
- কুরআন তিলাওয়াতের সিজদাহ
- জুমআর নামাযে রাসূল (সা)-এর হেদায়াত কেমন ছিল?
- কোন্ সাহাবী মদীনায় সর্বপ্রথম জুমআর নামায চালু করেন?
- নবী (সা)-এর জুমআর খুতবা
- দ্বিতীয় খুতবা
- জুমআর দিনের ফযীলত ও বৈশিষ্ট্য
- রাসূল (স) খুতবায় যেসব বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিতেন
- সালাতুল ঈদাইন তথা দু ঈদের নামাযে নবী (স)’র হেদায়াত ঈদের নামাযে কে সর্বপ্রথম মিম্বার স্থাপন করেন?
- জুমআর দিন ঈদ হলে
- সূর্য গ্রহণের সময় নবী (স)-এর অবস্থা কেমন ছিল? সালাতুল ইস্তেসকা তথা বৃষ্টি প্রার্থনার নামায
- বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার দু’আ করা
- আকাশে মেঘ দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হওয়া
- সফর অবস্থায় নবী (.)-এর আদর্শ এবং তাতে তাঁর ইবাদতের পদ্ধতি সফর অবস্থায় নবী ()-এর নামায
- কুরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে নবী (স)-এর হেদায়াত
- কুরআন তিলাওয়াতে আওয়াজ উঁচু ও সুন্দর করা দু’ভাবে হতে পারে। রোগী দেখতে যাওয়া ও রোগীর সেবায় নবী (সা.)-এর সুন্নাত
- মৃত ব্যক্তির জানাযা ও কাফন-দাফনের ক্ষেত্রে রাসূলের সুন্নাত জানাযার নামাযের পদ্ধতি
- জানাযার নামাযের তাকবীর সংখ্যা
- জানাযার নামাযে তাকবীর বলার সময় রাফউল ইয়াদাইন করা কারো জানাযার নামায ছুটে গেলে কবরের উপর পড়তে পারে
- যার উপর শরীয়তের নির্ধারিত শাস্তি কায়েম করা হয়েছে, তার জানাযা জানাযার (লাশের) আগে ও পিছনে গমণ করা
- গায়েবানা জানাযা
- জানাযা দেখে দাঁড়ানো
- কবরের উপর কুরআন পড়া ও কবর পাকা করা নিষেধ
- কবর যিয়ারত ও তার পদ্ধতি
- ভয়কালীন নামাযে নবী(স)-এর আদর্শ
- যাকাতের ক্ষেত্রে নবী (সা)-এর আদর্শ যে সমস্ত মালের যাকাত দিতে হয়
- বিভিন্ন প্রকার সম্পদে যাকাতের বিভিন্ন নিসাব
- নবী (স)-এর যাকাত বন্টন করার পদ্ধতি
- নবী (স)-এর নফল সাদকার ক্ষেত্রে নবী (সা)-এর সুন্নাত
- তাওহীদ বান্দার অন্তর প্রশস্ত করার অন্যতম মাধ্যম
- সিয়াম তথা রোযা রাখার ক্ষেত্রে নবী (স)-এর হেদায়াত রামাযান মাসের আগমণ ও রোযার বিভিন্ন আহকাম
- সফর অবস্থায় রোযা রাখা
- স্ত্রী সহবাসের পর গোসল করার পূর্বেই ফজরের সময় হয়ে গেলে রোযা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা
- যে সমস্ত কারণে রোযা ভেঙে যায়
- নফল রোযা রাখার ক্ষেত্রে নবী (স)-এর সুন্নাত
- ইতেকাফের ক্ষেত্রে নবী (স)-এর সুন্নাত
- হজ্জ ও উমরার ক্ষেত্রে নবী (স)-এর পবিত্র সুন্নাত
- একই সফরে একাধিক উমরাহ করা এবং তানঈম থেকে ইহরাম বাধা রামাযান মাসে উমরাহ করা
- কাবা ঘরের তাওয়াফের ক্ষেত্রে রাসূল (স.)-এর হেদায়াত আরাফার দিনে নবী (স)-এর পবিত্র হেদায়াত
- ইহরাম অবস্থায় কেউ মারা গেলে
- মুযদালিফায় নবী (সা.)-এর পবিত্র সুন্নাত
- আযাবের স্থান দিয়ে চলার সময় দ্রুত চলা
- ভাগে কুরবানী করা
- তাওয়াফে ইফাযাহ (হজ্জের তাওয়াফ)
- ১১, ১২ এবং ১৩ তারিখে জামারায় পাথর নিক্ষেপের ক্ষেত্রে নবী (স) এর পবিত্র সুন্নাত
- বিদায় হজ্জের বছর দু’আ করার জন্য নবী (স) কোথায় কোথায় অবস্থান করেছেন?
- হাজীদের সেবায় নিয়োজিত থাকার কারণে কিংবা অন্য কোন শরঈ উযর থাকলে মিনায় রাত্রি যাপন করা জরুরী নয়
- তানঈম থেকে আয়েশা আ এর উমরাহ
- কাবা ঘরে প্রবেশ করা কি হজ্জের সুন্নাত
- কোরবানী ও আকীকার ক্ষেত্রে নবী (স)-এর আদর্শ
- হজ্জের কুরবানী (হাদী) যবেহ করার ক্ষেত্রে নবী (স)-এর আদর্শ
- ঈদের কুরবানীর ক্ষেত্রে নবী (সা.)-এর সুন্নাত
- আকীকার ক্ষেত্রে নবী (সা.)-এর সুন্নাত
- নাম ও কুনীয়ত (উপনাম) রাখা সম্পর্কে নবী (স)-এর সুন্নাত
- কারও নাম বা উপনাম আবুল কাসেম রাখা
- কথা-বার্তায় সংযত হওয়া এবং শব্দ নির্বাচন ও তা প্রয়োগে নবী ( এর সতর্কতা
- যদি এমন করতাম, তাহলে এমন হত, যদি এমন না করতাম, তাহলে এমন হতনা- এ ধরণের কথা বলা নিষেধ
- যিকির তথা আল্লাহর স্মরণের ক্ষেত্রে নবী (স)-এর সুন্নাত
- সফর থেকে ফেরত এসে গৃহে প্রবেশের পূর্বে যা করণীয়
- সকাল-সন্ধ্যায় পাঠ করার কতিপয় যিকির
- আযান ও একামতের ক্ষেত্রে রাসূল (স)-এর সুন্নাত
- পানাহার গ্রহণের ক্ষেত্রে নবী (সা) থেকে বর্ণিত কতিপয় আদব সালাম ও হাঁচির জবাব দেয়া
- তিন নিশ্বাসে পান করা
- পানাহার গ্রহণের সময় প্রয়োজনীয় কথা বলা
- কারও বাড়ীতে দাওয়াত খেলে বাড়িওয়ালার জন্য দু’আ করা | সালাম ও সালামের উত্তর প্রদানে নবী (স)-এর হেদায়াত | ইহুদী-খৃষ্টানদেরকে সালাম দেয়ার ব্যাপারে নবী (স)-এর সুন্নাত
- কারও কাছে প্রবেশের পূর্বে অনুমতি প্রার্থনার ক্ষেত্রে রাসূল (স)-এর সুন্নাত
- হাঁচি বের হওয়ার সময় নবী (স)-এর সুন্নাত
- হাঁচির উপকারিতা
- নবী (স) থেকে বর্ণিত সফরের আদবসমূহ
- নবী (সা) থেকে বর্ণিত খুতবাতুল হাজাতের পদ্ধতি
- স্বপ্নের বিষয়ে নবী (স)-এর সুন্নাত
- ওয়াসওয়াসা তথা শয়তানের কুমন্ত্রণার কবলে পতিত ব্যক্তি কিভাবে রেহাই পাবে?
- ক্রোধান্বিত হওয়ার সময় যা করণীয়
- মোরগের ডাক শুণে আল্লাহর কাছে কল্যাণ চাওয়া
- নবী (স) যে সমস্ত কথা অপছন্দ করতেনঃ
- জিহাদ ও গাযওয়ার ক্ষেত্রে নবী (স)-এর হেদায়াত
- জিহাদের প্রকার ও স্তরসমূহ
- নফসের সাথে জিহাদ
- শয়তানের সাথে জিহাদ
- কাফের ও মুনাফেকদের বিরুদ্ধে জিহাদ
- যালেম, পাপী ও বিদআতীদের সাথে জিহাদ
- আল্লাহর যেই বান্দা সর্বোত্তম জিহাদ করেছেন
- নবী (স)-এর দাওয়াত এবং ইসলাম গ্রহণে যারা অগ্রগামী ছিলেন দীনের পথে সাহাবীদের জুলুম-নির্যাতন সহ্যের কিছু দৃষ্টান্ত
- কুরাইশদের নির্যাতন কঠোর হলে আবিসিনিয়ায় মুসলমানদের হিজরত | নাজ্জাশীর রাজ্যে মুসলিমদের নিরাপদ বসবাস এবং কুরাইশদের ষড়যন্ত্র নবী (স) ও বনী হাশেমকে কুরাইশদের বয়কট
- নবী (স) এর তায়েফ গমণ
- নবী (স)-এর মি’রাজ
- মি’রাজের রাত্রে নবী (সা) কি আল্লাহকে দেখেছেন?
- নবী (স)-এর মদীনায় হিজরতের পটভূমি ও প্রেক্ষাপট আকাবার প্রথম বায়আত
- আকাবার দ্বিতীয় বায়আত
- শয়তান তথ্য ফাঁস করে দিল
- নবী (সা.) এবং মুসলিমদের মদীনায় হিজরত
- মদীনায় মুহাম্মাদ (স)
- মসজিদে নববীর নির্মাণ
- আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন রচনা
- মদীনার ইহুদীদের সাথে চুক্তি
- কিবলা পরিবর্তনের ঘটনা
- মদীনায় রাসূল (সা)-এর হিজরত এবং জিহাদের সূচনা জিহাদের ময়দানে অবতরণের পূর্বে নবী (সা.)-এর হেদায়াত গণীমতের মাল বন্টন
- যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারে নবী (সা)-এর হেদায়াত
- গণীমত হিসাবে প্রাপ্ত যমীনে রাসূল (স)-এর হেদায়াত
- নবী (সা)-এর নিরাপত্তা চুক্তি, সন্ধি, অমুসলিমদের দূত, জিযইয়া গ্রহণ, আহলে কিতাব এবং মুনাফিকদের সাথে তাঁর আচরণ ও ওয়াদা-অঙ্গিকার পূরণ সম্পর্কে
- অমুসলিমদের সাথে চুক্তি করা এবং কর আদায় সম্পর্কে রাসূল (স)-এর হেদায়াত
- নবুওয়াত প্রাপ্তির পর হতে মৃত্যু পর্যন্ত কাফের এবং মুনাফেকদের সাথে নবী (সা.)-এর মুআমালাত (আচার-ব্যবহার)
- সাহাবী এবং বন্ধুদের সাথে নবী (স) এর আচরণ
- নবী (সা) এর যুদ্ধসমূহের বর্ণনা
- বদরের যুদ্ধ
- উহুদের যুদ্ধ
- উহুদ যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন
- উহুদ যুদ্ধে যে সমস্ত হুকুম-আহকাম ও শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে
- উহুদ যুদ্ধের শিক্ষা
- গাযওয়ায়ে হামরাউল আসাদ
আল্লামা ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (সা)-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
শাইখুল ইসলাম আল্লামা হাফেয ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (জেন-এর জীবনী কয়েক পৃষ্ঠায় লিখা সম্ভব নয়। তাঁর পূর্ণ জীবনী লিখতে একটি স্বতন্ত্র পুস্তকের প্রয়োজন। আমরা সেদিকে না গিয়ে অতি সংক্ষেপে তাঁর বরকতময় জীবনীর বেশ কিছু দিক উল্লেখ করার চেষ্টা করব।
শাইখের পূর্ণ নাম ও পরিচয়ঃ
তাঁর পূর্ণ নাম হচ্ছে, আবূ আব্দুল্লাহ্ শামসুদ্দীন মুহাম্মাদ বিন আবূ বকর বিন আইয়্যুব….আদ দিমাশকী। তিনি সংক্ষেপে ইবনুল কাইয়্যিম আল-জাওযীয়া বলেই মুসলিম উম্মার মাঝে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর পিতা দীর্ঘ দিন দামেস্কের আল জাওযীয়া মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বলেই তাঁর পিতা আবূ বকরকে। এ কায়্যিমুল জাওযীয়া অর্থাৎ মাদরাসাতুল জাওযীয়ার তত্ত্বাবধায়ক বলা হয়। পরবর্তীতে তাঁর বংশের লোকেরা এ উপাধিতেই প্রসিদ্ধি লাভ করে ।
জন্ম, প্রতিপালন ও শিক্ষা গ্রহণঃ
তিনি ৬৯১ হিজরী সালের সফর মাসের ৭ তারিখে দামেস্কে জন্মগ্রহণ করেন। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (আমার এক ইলমী পরিবেশ ও ভদ্র পরিবারে প্রতিপালিত হন। মাদরাসাতুল জাওযীয়ায় তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি স্বীয় যামানার অন্যান্য আলেমে দীন থেকেও জ্ঞান অর্জন করেন। তাঁর উস্তাদগণের মধ্যে শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমীয়া সর্বাধিক উল্লেখ্য। ইবনে তাইমীয়া মোহ-এর ছাত্রদের মধ্যে একমাত্র ইবনুল কাইয়্যিমই ছিলেন তাঁর জীবনের সার্বক্ষণিক সাথী। ঐতিহাসিকদের ঐক্যমতে তিনি ৭১২ হিজরী সালে শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমীয়ার সাথে সাক্ষাত করেন। এর পর থেকে শাইখের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি তাঁর সাথেই ছিলেন। এমনকি জিহাদের ময়দান থেকে শুরু করে জেলখানাতেও তিনি তাঁর থেকে আলাদা হন নি । এভাবে দীর্ঘ দিন স্বীয় উস্তাদের সাহচর্যে থেকে যোগ্য উস্তাদের যোগ্য শিষ্য এবং শাইখের ইলম এবং দাস-তাদরীসের সঠিক ওয়ারিশ হিসাবে গড়ে উঠেন । সেই সাথে স্বীয় পান্ডিত্য বলে এক অভিনব পদ্ধতিতে ইসলামী আকীদাহ ও তাওহীদের ব্যাখ্যা দানে পারদর্শিতা লাভ করেন ।
তাঁর সম্পর্কে বলা হয় যে, শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমীয়া প্রেম মানে)-এর সাথে সাক্ষাতের পূর্বে তিনি সুফীবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। অতঃপর শাইখের সাহচর্য পেয়ে এবং তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি সুফীবাদ বর্জন করেন এবং তাওবা করে হেদায়াতের পথে চলে আসেন। তবে এ তথ্যটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রমাণিত নয় বলে কতিপয় আলেম উল্লেখ করেছেন। যদি ধরেও নেয়া হয় যে, তিনি প্রথম জীবনে সুফী তরীকার অনুসারী ছিলেন, তবে এমনটি নয় যে, তিনি বর্তমান কালের পচা, নিকৃষ্ট ও শির্ক- বিদআতে পরিপূর্ণ সুফীবাদে বিশ্বাসী ছিলেন; বরং তিনি পূর্ব কালের সেই সমস্ত সম্মানিত মনীষীর পথ অনুসরণ করতেন, যারা পার্থিব জীবনের ভোগ-বিলাস বর্জন করে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য আত্মশুদ্ধি, উন্নত চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন, ইবাদত-বন্দেগী ও যিকির-আযকারে মশগুল থাকতেন এবং সহজ-সরল ও সাধারণ জীবন যাপন করতেন। আর এটি কোন দূষণীয় বিষয় নয় । আল্লামা ইবনে তাইমীয়ার পর ইবনুল কাইয়্যিমের মত দ্বিতীয় কোন মুহাক্কিক আলেম পৃথিবীতে আগমণ করেছেন বলে ইতিহাসে প্রমাণ পাওয়া যায়না। তিনি ছিলেন তাফসীর শাস্ত্রে বিশেষ পান্ডিত্যের অধিকারী, উসূলে দীন তথা আকীদাহর বিষয়ে পর্বত সদৃশ, হাদীস ও ফিকহ্ শাস্ত্রে গভীর জ্ঞানের অধিকারী এবং নুসূসে শরঈয়া থেকে বিভিন্ন হুকুম-আহকাম বের করার ক্ষেত্রে অদ্বিতীয় ।
সুতরাং একদিকে তিনি যেমন শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমীয়ার ইলমী খিদমাতসমূহকে একত্রিত করেছেন, এগুলোর অসাধারণ প্রচার- প্রসার ঘটিয়েছেন, শাইখের দাওয়াত ও জিহাদের সমর্থন করেছেন, তাঁর দাওয়াতের বিরোধীদের জবাব দিয়েছেন এবং তাঁর ফতোয়া ও মাসায়েলের সাথে কুরআন ও সুন্নাহ্-এর দলীল যুক্ত করেছেন, সেই সাথে তিনি নিজেও এক বিরাট ইলমী খেদমত মুসলিম জাতিকে উপহার দিয়েছেন। ডাক্তারী বিজ্ঞানের আলেমগণ বলেনঃ আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম জেলা তাঁর লিখিত কিতাব ‘তিব্বে নববী’তে চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে সমস্ত বিরল অভিজ্ঞতা ও উপকারী তথ্য পেশ করেছেন এবং চিকিৎসা জগতে যে সমস্ত বিষয়ের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন, তা চিকিৎসা শাস্ত্রের ইতিহাসে চিরকাল অম্লান হয়ে থাকবে। তিনি একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার হিসাবেও পারদর্শিতা অর্জন করেছিলেন।
কাযী বুরহান উদ্দীন বলেনঃ আকাশের নীচে তার চেয়ে অধিক প্রশস্ত জ্ঞানের অধিকারী সে সময় অন্য কেউ ছিল না।
ইবনুল কাইয়্যিম -এর কিতাবগুলো পাঠ করলে ইসলামের সকল বিষয়ে তাঁর গভীর জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায় । আরবী ভাষা জ্ঞানে ও শব্দ প্রয়োগে তিনি অত্যন্ত নিপুণতার পরিচয় দিয়েছেন। তার লেখার ভাষা খুব সহজ। তাঁর উস্তাদের কিছু কিছু লিখা বুঝতে অসুবিধা হলেও তাঁর কিতাবসমূহের ভাষা খুব সহজ ও বোধগম্য ।
তার অধিকাংশ কিতাবেই দীনের মৌলিক বিষয় তথা আকীদাহ ও তাওহীদের বিষয়টি অতি সাবলীল, প্রাঞ্জল ও চিত্তাকর্ষক ভাষায় ফুটে উঠেছে। সুন্নাতে রাসূল ( )-এর প্রতি ছিল তাঁর অগাধ ভালবাসা । বিদআত ও বিদআতীদের প্রতিবাদে তিনি ছিলেন স্বীয় উস্তাদের মতই অত্যন্ত কঠোর । লেখা ও বক্তৃতার মাধ্যমে সুন্নাত বিরোধী কথা ও আমলের মূলোৎপাটনে তিনি তাঁর সর্বোচ্চ সময় ও শ্রম ব্যয় করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেন নি। তাওহীদের উপর তিনি মজবুত ও একনিষ্ঠ থাকার কারণে এবং শির্ক ও বিদআতের জোরালো প্রতিবাদের কারণে তাঁর শত্রুরা তাকে নানাভাবে কষ্ট দিয়েছে। তাকে গৃহবন্দী, দেশান্তর এবং জেলখানায় ঢুকানোসহ বিভিন্ন প্রকার মসীবতে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এত নির্যাতনের পরও তিনি স্বীয় লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হতে বিন্দুমাত্র সরে দাঁড়ান নি ।
কর্মজীবনঃ
জওযীয়া নামক মহল্লার ইমামতি, শিক্ষকতা, ফতোয়া দান, দাওয়াতে দীনের প্রচার ও প্রসার ঘটানো এবং লেখালেখির মাধ্যমেই তিনি তাঁর কর্মজীবন অতিবাহিত করেন। যে সমস্ত মাসআলার কারণে তিনি কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হন, তার মধ্যে এক সাথে তিন তালাকের মাসআলা, আল্লাহর নবী ইবরাহীম খলীল এর কবরে ছাওয়াবের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করার মাসআলা এবং শাফাআত এবং নবী-র ী-রাসূলদের উসীলার মাসআলা অন্যতম। আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর উপর রহম করুন। এটিই নবী-রাসূলের পথ। যে মুসলিম আল্লাহর পথে পরীক্ষার সম্মুখীন হবেন, তাঁর জেনে রাখা উচিত যে, তিনি ইমামুল মুওয়াহিদীন ইবরাহীম খলীল ( এবং বনী আদমের সরদার মুহাম্মাদ (স)-এর পথেই রয়েছেন। মুসলিম উম্মার
জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিশাল দীনী খেদমত রেখে গেছেন। তাঁর বেশ কিছু ইলমী খেদমত নিম্নে উল্লেখ করা হল ।
১) আস্ সাওয়ায়েকুল মুরসালাহ
২) যাদুল মা’আদ ফী হায়ী খাইরিল ইবাদ
৩) মিফতাহু দারিস সা‘আদাহ
৪) মাদারিজুস্ সালিকীন
৫) আল-কাফীয়াতুশ শাফিয়া ফীন্ নাহু
৬) আল-কাফীয়াতুশ শাফীয়া ফীল ইনতিসার লিলফিরকাতিন
৭) আল-কালিমুত তায়্যিবু ওয়াল আমালুস সালিহু
৮) আল-কালামু আলা মাসআলাতিস্ সামাঈ হিদায়াতুল হায়ারা ফী আজভিবাতিল ইয়াহুদ ওয়ান্ নাসারা
১০) আলমানারুল মুনীফ ফীস্ সহীহ ওয়ায্ যঈফ
১১) ই’লামুল মু‘আক্বিয়ীন আল-ফুরুসীয়াহ
১৩) তরীকুল হিজরাতাইন ও বাবুস্ সা‘আদাতাইন এর একটা
১৪) আত্ তুরুকুল হুকামিয়াহন
১৫) আল-ফাওয়ায়েদ
১৬) হাদীল আরওয়াহ ইলা বিলাদিল আফরাহ
১৭) আল-ওয়াবিলুস্ সাইয়্যিব
১৮) ‘উদ্দাতুস সাবিরীন ও যাখীরাতুশ্ শাকিরীন
১৯) তাহযীবু সুনানে আবী দাউদ
২০) আস্ সিরাতুল মুসতাকীম
২১) শিফাউল ‘আলীল
২২) কিতাবুর রূহ্ তোড়ন্তে এ ছাড়াও তাঁর আরও কিতাব রয়েছে, যা এখনও আমাদের নযরে পড়ে নি
তাঁর ইবাদত-বন্দেগী ও আখলাক-চরিত্রঃ
আল্লামা ইবনে রজব (র) তাঁর ইবাদত-বন্দেগী সম্পর্কে বলেনঃ তিনি ছিলেন ইবাদতকারী, তাহাজ্জুদ গোজার, নামাযে দীর্ঘ কিরাআত পাঠকারী, সদা যিকির-আযকারে মশগুল, আল্লাহ্র দিকে প্রত্যাবর্তনকারী, তাওবা- ইসতেগফারকারী, আল্লাহর সামনে এবং তাঁর দরবারে কাকুতি-মিনতি পেশকারী। তিনি আরও বলেনঃ আমি তাঁর মত ইবাদতগোজার অন্য কাউকে দেখিনি, তাঁর চেয়ে অধিক জ্ঞানী অন্য কাউকে পাইনি, কুরআন, সুন্নাহ্ এবং তাওহীদের মাসআলাসমূহের ব্যাখ্যা সম্পর্কে তাঁর চেয়ে অধিক পারদর্শী অন্য কেউ ছিলনা। তবে তিনি মা’সুম তথা সকল প্রকার ভুলের ঊর্ধ্বে ছিলেন না। দীনের পথে তিনি একাধিকবার বিপদাপদ ও ফিতনার সম্মুখীন হয়েছেন। এ সব তিনি অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে বরদাশত করেছেন। সর্বশেষে তিনি দামেস্কের দূর্গে শাইখ তকীউদ্দীনের সাথে বন্দী ছিলেন। শাইখের মৃত্যুর পর তিনি জেলখানা থেকে বের হন। জেলখানায় থাকা অবস্থায় তিনি কুরআন তেলাওয়াত এবং কুরআনের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণায় লিপ্ত থাকতেন ।
আল্লামা ইবনে কাছীর তাঁর সম্পর্কে বলেনঃ আমাদের যামানায় ইবনুল কাইয়্যিমের চেয়ে অধিক ইবাদতকারী অন্য কেউ ছিলেন বলে জানিনা, তিনি অত্যন্ত দীর্ঘ নামায পড়তেন এবং রুকূ— ও সিজদাহ লম্বা করতেন। এ জন্য অনেক সময় তাঁর সাথীগণ তাঁকে দোষারোপ করতেন। তথাপিও তিনি স্বীয় অবস্থানে অটল থাকতেন।
তাঁর উস্তাদবৃন্দঃ
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (র) যে সমস্ত আলেম-উলামার কাছ থেকে তা’লীম ও তারবীয়াত হাসিল করেন, তাদের মধ্যে রয়েছেনঃ
১) শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমীয়াহ
২) আহমাদ বিন আব্দুদ্ দায়িম আল-মাকদেসী (মাই
৩) তাঁর পিতা কাইয়্যিমুল জাওযীয়াহ জেই
৪) আহমাদ বিন আব্দুর রাহমান আন্ নাবলেসী যেই
৫) ইবনুস্ সিরাজী (মো) আল-মাজদ্ আল হাররানী লো
৭) আবুল ফিদা বিন ইউসুফ বিন মাকতুম আলকায়সী
৮) হাফেয ইমাম আয-যাহাবী (রহ)
৯) শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমীয়ার ভাই শরফুদ্দীন আব্দুল্লাহ্ বিন আব্দুল হালীম ইবনে তাইমীয়াহ্ আন্ নুমাইরী এল
১০) তকীউদ্দীন সুলায়মান বিন হামজাহ আদ্ দিমাস্কী এবং আরও অনেকেই
তাঁর ছাত্রসমূহঃ
ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম-এর হাতে যে সমস্ত মনীষী জ্ঞান আহরনে ধন্য হয়েছিলেন, তাদের তালিকা অতি বিশাল। তাদের কতিপয়ের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হল ।
১) বুরহান উদ্দীন ইবরাহীম বিন ইবনুল কাইয়্যিম
২) ইমাম ইবনে রজব
৩) হাফেয ইমাম ইবনে কাছীর (র)
৪) আলী বিন আব্দুল কাফী আস্ সুবকী (লোহা)
৫) মুহাম্মাদ বিন আহমাদ ইবনে কুদামা আলমাকদেসী
৬) মুহাম্মাদ বিন ইয়াকুব আলফাইরুযাবাদী
মৃত্যুঃ
মুসলিম উম্মার জন্য অসাধারণ ‘ইলমী খেদমত রেখে এবং ইসলামী লাইব্রেরীর বিরাট এক অংশ দখল করে হিজরী ৭৫১ সালের রজব মাসের ১৩ তারিখে এ মহা মনীষী এ নশ্বর ইহধাম ত্যাগ করেন। দামেস্কের বাবে সাগীরের গোরস্থানে তাঁর পিতার পাশেই তাঁকে দাফন করা হয় । হে আল্লাহ্! তুমি তাঁকে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা দান কর এবং তোমার রহমত দিয়ে তাঁকে ঘিরে নাও । আমীন!
গ্রন্থকারের সংক্ষিপ্ত ভূমিকা
আল্লাহ্ তা’আলা সকল সৃষ্টির একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। আর তিনিই মাখলুক হতে যা ইচ্ছা নির্বাচন করেন। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ
“হে রাসূল! তোমার প্রতিপালক যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং এখতিয়ার (বাছাই) করেন। এ ব্যাপারে তাদের কোন এখতিয়ার নেই। আল্লাহ্ পবিত্র এবং তারা যাকে তাঁর শরীক সাব্যস্ত করে, তিনি তা থেকে ঊর্ধ্বে”। (সূরা কাসাস ২৮৪৬৮)
এ আয়াতে এখতিয়ার দ্বারা নির্বাচন, বাছাই ও চয়ন করা উদ্দেশ্য। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ অর্থাৎ (আল্লাহ্ তা’আলার এখতিয়ার বা নির্বাচনে) বান্দার কোন অধিকার নেই। আল্লাহ্ তা’আলা যেমন একাই সকল মাখলুক সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তিনি একাই সৃষ্টি থেকে যা ইচ্ছা বাছাই ও পছন্দ করেছেন। সুতরাং নির্বাচন, বাছাই ও চয়ন করার ক্ষেত্রসমূহ সম্পর্কে তিনিই অধিক অবগত আছেন । যেমন আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ “আল্লাহ্ এ বিষয়ে সুপরিজ্ঞাত যে, কোথায় স্বীয় রেসালাত প্রেরণ করতে হবে” । (সূরা আনআম ৬: ১২৪)
আল্লাহ্ তা’আলা আরও বলেনঃ “তারা বলে, কোরআন কেন দু জনপদের কোন প্রধান ব্যক্তির ওপর অবতীর্ণ হল না? তারা কি তোমার পালনকর্তার রহমত বন্টন করে? আমি তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বন্টন করেছি পার্থিব জীবনে এবং একের মর্যাদাকে অপরের উপর উন্নীত করেছি, যাতে একে অপরকে সেবক রূপে গ্রহণ করে। তারা যা সঞ্চয় করে, তোমার পালনকর্তার রহমত তদপেক্ষা উত্তম” । (সূরা যুখরুফ ৪৩ঃ ৩১-৩২)
এখানে আল্লাহ্ তা’আলা মুশরিকদের এখতিয়ারের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং তিনি সংবাদ দিয়েছেন যে, আল্লাহ্র পছন্দ ও বাছাইয়ে তাদের কোন দখল নেই। এ বিষয়টি শুধু সেই সত্তার অধিকারে, যিনি তাদের রিযিক বন্টন করেছেন এবং বয়স নির্ধারণ করেছেন। আর তিনিই সম্মানিত বান্দাদের মাঝে স্বীয় অনুগ্রহ ও রহমত ভাগ করেন । তিনি ভাল করেই জানেন কে নবুওয়াত, রেসালাত এবং অনুগ্রহ পাওয়ার হকদার আর কে এগুলো পাওয়ার হকদার নয় । তিনি স্বীয় বান্দাদের কাউকে অন্য কারও উপর মর্যাদা দিয়েছেন। মুশরিকরা যেই শির্ক ও যেই প্রস্তাব এখতিয়ার করেছিল, আল্লাহ্ তা’আলার যাতে-পাক তার অনেক ঊর্ধ্বে। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ “আল্লাহর এখতিয়ারে (বাছাইয়ে) তাদের কোন দখল নেই। আল্লাহ্ পবিত্র এবং তারা যাকে তাঁর সাথে শরীক সাব্যস্ত করে, তিনি তার ঊর্ধ্বে”। (সূরা কাসাস ২৮ঃ ৬৮)
যেহেতু মুশরিকদের শির্কের দ্বারা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়না, তাই উপরোক্ত আয়াতে শুধু অন্য সৃষ্টিকর্তা থাকার প্রতিবাদ করা হয়নি; বরং তাদের শির্কী প্রস্তাবেরও প্রতিবাদ করা হয়েছে। মোট কথা, মক্কার মুশরিকরা এটি দাবী করতনা যে, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন সৃষ্টিকর্তা আছে; বরং তারা বিশ্বাস করত, সৃষ্টিকর্তা এবং রিযিক দাতা একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলা । এ অর্থেই আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ “তোমরা আল্লাহ্র পরিবর্তে যাদের পূজা কর, তারা কখনও একটি মাছি সৃষ্টি করতে পারবেনা, যদিও তারা সকলে একত্রিত হয়। আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কোন কিছু ছিনিয়ে নেয়, তবে তারা তার কাছ থেকে তা উদ্ধার করতে পারবেনা। প্রার্থনাকারী ও যার কাছে প্রার্থনা করা হয়, উভয়েই শক্তিহীন। তারা আল্লাহ্ যথাযোগ্য মর্যাদা বুঝেনি। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শক্তিধর, পরাক্রমশীল” । (সূরা হাজ্জ ২২ঃ ৭৩-৭৪)
আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ যেদিন আল্লাহ্ তাদেরকে ডেকে বলবেন, তোমরা রাসূলগণকে কী জবাব দিয়েছিলে? অতঃপর তাদের কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যাবে এবং তাদের একে অপরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেনা। তবে যে তাওবা করে, বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আশা করা যায়, সে সফলকাম হবে” আপনার প্রতিপালক যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং পছন্দ করেন। এ ব্যাপারে তাদের কোন এখতিয়ার নেই। আল্লাহ্ পবিত্র এবং তারা যাকে তাঁর শরীক সাব্যস্ত করে, তিনি তার অনেক ঊর্ধ্বে । (সূরা কাসাস ২২ঃ ৬৫-৬৮)
সুতরাং আল্লাহ্ তা’আলা যেমন একাই সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তাঁর সৃষ্ট বান্দাদের মধ্য হতে যারা তাওবা করে, ঈমান আনয়ন করে এবং সৎ আমল করে আল্লাহ্ তা’আলার সর্বোত্তম বান্দায় পরিণত হয় এবং সফলকাম হয়, আল্লাহ্ তা’আলা তাদেরকে পছন্দ ও নির্বাচন করেন। এ পছন্দ ও বাছাই করার বিষয়টি সম্পূর্ণ আল্লাহর হাতে। তিনি স্বীয় হিকমত ও ইলম অনুপাতে যাকে যোগ্য পান, তাকেই পছন্দ করেন ও নির্বাচন করেন। এ সমস্ত মুশরিকদের ইচ্ছা ও প্রস্তাব মোতাবেক তিনি কাউকে বাছাই করেন না। আল্লাহ্ তা’আলা তাদের শির্ক ও শরীকসমূহ থেকে পবিত্র এবং এগুলোর অনেক ঊর্ধ্বে ।
সুতরাং আল্লাহ্ তা’আলা যেমন মানুষ সৃষ্টি করেছেন, তেমনি তাদের থেকে নবী-রাসূলদেরকে বাছাই ও নির্বাচন করেছেন। আল্লাহ্ তা’আলার মহান হিকমতের দাবী অনুযায়ী এবং বনী আদমের স্বার্থেই এ বাছাই ও নির্বাচন। এতে আল্লাহ্ তা’আলা ছাড়া অন্য কারও পরামর্শ, প্রস্তাব এবং বাছাইয়ের কোন দখল নেই। আল্লাহ্ তা’আলার এ বাছাই, পছন্দ ও নির্বাচন পৃথিবীতে তাঁর রুবূবীয়াতের বিরাট এক নিদর্শন, তাঁর একত্বের সর্ব বৃহৎ দলীল, তাঁর পরিপূর্ণ গুণাবলীর প্রমাণ এবং রাসূলদের সত্যায়নের সুস্পষ্ট দলীল ।
আল্লাহ্ তা’আলা সাতটি আসমান সৃষ্টি করেছেন । এগুলোর মধ্যে হতে সর্বশেষ ও উপরেরটিকে তাঁর নিকটবর্তী ফেরেশতাদের অবস্থানের স্থান হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। এটিকে তাঁর কুরসী ও আরশের নিকটে রেখেছেন এবং তাঁর সৃষ্টির মধ্য হতে যাকে ইচ্ছা এখানে বসবাস করিয়েছেন। সুতরাং অন্যান্য আকাশের উপর এ আকাশের রয়েছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও ফজীলত । তা ছাড়া আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়াই সপ্তম আকাশের ফজীলতের জন্য যথেষ্ট ।
আল্লাহ্ তা’আলার মাখলুকসমূহের কোটিকে অন্যটির উপর প্রাধান্য দেয়ার ধারাবাহিকতায় সমস্ত জান্নাতের উপর জান্নাতুল ফেরদাউসকে আল্লাহ্ তা’আলা সর্বোচ্চ মর্যাদা প্রদান করেছেন এবং আল্লাহ্ তা’আলা আরশকে এর ছাদ হিসাবে নির্ধারণ করেছেন।
এ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় আল্লাহ্ তা’আলা ফেরেশতাদের থেকে কতিপয়কে বাছাই ও পছন্দ করেছেন। যেমন জিবরীল, মিকাঈল এবং ইসরাফীল (প্রলয় হিস) কে ফেরেশতাদের থেকে বাছাই করেছেন এবং অন্যদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। নবী (সা) বলেনঃ “হে আল্লাহ্! তুমি জিবরীল, মিকাঈল এবং ইসরাফীলের প্রভু, আসমান-যমিনের সৃষ্টিকারী, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল বস্তু সম্পর্কে অবগত, তুমি তোমার বান্দাদের মতভেদের বিষয়ে চূড়ান্ত ফয়সালাকারী । যে হকের ব্যাপারে লোকেরা মতভেদে লিপ্ত রয়েছে, তোমার তাওফীকে আমাকে তাতে দৃঢ়পদ রাখ । তুমি যাকে ইচ্ছা সঠিক পথে পরিচালিত করে থাক।

মুখতাসার যাদুল মাআদ
didarul3014 –
জাযাকাল্লাহ