মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
বই: মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
লেখিকা: মাহবুবা আক্তার
সম্পাদনায়: রফিকুল ইসলাম বিন সাঈদ
প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৪৭১
কভার: হার্ড কভার
বইটি কিনতে কিল্ক করুন: মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
আরো জানতে কিল্ক করুন: তাওহীদ পাবলকিশেন্স
মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
(সংশয় ও বিভ্রান্তির নিরসন)
লেখিকা: মাহবুবা আক্তার
সম্পাদনায়: রফিকুল ইসলাম বিন সাঈদ
প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স
সূচিপত্র
আলোচ্য বিষয় | পৃষ্ঠা |
অধ্যায়-১: মাযহাব সৃষ্টির ইতিহাস———————————- | |
বিভিন্ন ফিরকা ও মাযহাব সৃষ্টির ইতিকথা——————————— | |
রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগেই হাদীস সংরক্ষণ শুরু হয়েছিল——————– | |
সাহাবীগণের যুগে হাদীস সংকলিত না হওয়ার কারণ——————— | |
ইমামগণের আবির্ভাব—————————————————– | |
ইমাম আবূ হানীফাহ(রহিমাহুল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআলা)(৮০-১৫০ হিজরী) ——————–
ইমাম মালিক(রহিমাহুল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআলা)(৯৩-১৭৯ হিজরী) ——————– ইমাম শাফেঈ(রহিমাহুল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআলা)(১৫০-২০৪ হিজরী) ——————– ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল(রহিমাহুল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআলা)(১৬৪-২৪১ হিজরী) ——————– চার ইমাম ছিলেন একে অন্যের পরিপূরক——————————– |
|
সহীহ হাদীস সংকলনের স্বর্ণযুগ——————————————- | |
মাযহাবগুলো সৃষ্টি হলো কেন?——————————————– | |
মাযহাবী রায়গুলোকে গোঁড়ামীর সাথে অন্ধভাবে অনুসরণ করা শুরু হলো কবে থেকে?————————————————————– | |
মাযহাব মান্য করা ওয়াজিব ঘোষণা করলেন কে ও কবে থেকে?———- | |
চার ইমামের ফাতাওয়াগুলো কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে অনুসারী দল তৈরী হলো?——————————————————————– | |
কোন্ কোন্ দেশে এই হানাফী রায়গুলো ছড়িয়ে পড়ে?——————– | |
ইমাম আবূ হানীফাহ (রহিমাহুল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআলা) কেন রায় বা কিয়াসভিত্তিক ফাতাওয়া দিতেন?- | |
ইমামদের রায় বা কিয়াস কি শরীয়তের দলিল হতে পারে?————— | |
কুরআন ও সহীহ হাদীস ছাড়া মানুষের তৈরি কোনো ফিক্হ, মানুষের বানানো উসূল মান্য করা যাবে কি?————————————— | |
ইমাম আবু হানীফা (রহিমাহুল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআলা)এর রায়গুলো কি অবিকৃতই রয়ে গিয়েছিল?————- | |
পূর্ববর্তী যুগের হানাফী ফক্বীহ বনাম পরবর্তী যুগের হানাফী ফক্বীহ——– | |
তাক্বলীদ কি?————————————————————- | |
ইমাম আবু হানীফা তাঁর রায় মান্য করার ব্যাপারে কি বলেছিলেন?——– | |
মাযহাবী রায়ের বিপরীতে সহীহ হাদীসের উপর আমল করা প্রসঙ্গে হানাফী ফক্বীহগণের মন্তব্য———————————————— | |
আল্লাহ ও রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কি অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন?——- | |
হানাফী ফিক্হের কিতাবগুলোর মূলনীতিই হলো তাক্বলীদ (অন্ধ অনুসরণ) করতে তাকীদ দেওয়া—————————————————- | |
অধ্যায়-২ : হানাফী ফিক্হের ইতিহাস ও পরিচয়——————- | |
আল-মুখতাসারুল কুদূরী————————————————– | |
আল-হিদায়া————————————————————– | |
কান-যুদ্দাকায়েক———————————————————- | |
শরহে বিকায়া———————————————————— | |
মুসনাদে ইমাম আযম—————————————————– | |
তানবীরুল আবসার——————————————————- | |
আদ দুররুল মুখতার—————————————————– | |
রাদ্দুল মুহতার বা ফাতোয়ায়ে শামী————————————— | |
ফাতোয়ায়ে আলমগীরী—————————————————- | |
ফাতোয়ায়ে কাযী খান—————————————————– | |
ফাতোয়ায়ে বায্যাবিয়াহ————————————————— | |
তাহাবী শরীফ———————————————————— | |
ফাতহুল কাদীর———————————————————– | |
নুরুল আনোয়ার———————————————————- | |
বেহেশতের জেওর, মোকছোদুল মুমেনীন, নিয়ামুল কুরআন————— | |
মুন্তাখাব হাদীস———————————————————- | |
হানাফী ফিক্হগুলোতে কি কেবলমাত্র ইমাম আবু হানীফার রায়ই বিদ্যমান?—————————————————————– | |
সকল সহীহ হাদীসই আল্লাহ প্রেরিত ওহী——————————— | |
ইসলামী শরীয়ত (কুরআন ও সহীহ হাদিস) এবং ফিক্হের মধ্যে পার্থক্য– | |
ফিক্হের গ্রন্থাবলী মান্য করার শর্তাবলী———————————– | |
কারা এই মাযহাবী ফিক্হের গ্রন্থগুলো থেকে উপকৃত হতে পারেন?——- | |
হানাফী ফিক্হগুলোতে সনদ বা বর্ণনাকারীদের পরম্পরা উল্লেখ নেই—— | |
যে কারণে হানাফী ফিক্হগুলো আরব দেশে স্থান না নিয়ে, অনারব দেশে স্থান নিয়েছে————————————————————– | |
ওহীর নির্দেশ হচ্ছে প্রাচীনকে আঁকড়ে ধরা——————————– | |
অধ্যায়-৩: প্রচলিত ফিক্হের কিতাবসমূহে কুরআন ও সহীহ হাদীস বিরোধী ফাতাওয়ার নমুনা—————————————— | |
মাযহাবী ফিক্হসমূহের কয়েকটি মূলনীতি——————————— | |
ফিক্হের কিতাবসমূহের কুরআন ও সহীহ হাদীস বিরোধী ফাতাওয়ার নমুনা——————————————————————— | |
ফিক্হের কিতাবসমূহের দু’একটি আজগুবি ফাতাওয়ার নমুনা————- | |
ফিক্হের ফাতাওয়া আপনাকে ধাঁধায় ফেলে দিবে————————- | |
ফিক্হ মান্যকারীরা কুরআন ও সহীহ হাদীসের প্রতি বিদ্বেষী হয়ে ওঠে—- | |
ইমাম আবু হানীফা কি হাদীস বিরোধী রায় মান্য করতে বলেছেন?——– | |
যেক্ষেত্রে রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুস্পষ্ট হাদীস বিদ্যমান থাকবে, সেক্ষেত্রে অন্য কারো কথাই গ্রহণযোগ্য হবে না—————————————— | |
কারা আমল করেও ক্ষতিগ্রস্ত? ——————————————- | |
সহীহ হাদীস মেনে নিতে হবে বিনা যুক্তিতে——————————- | |
আমরা মাযহাবী ফিক্হ মানতে আদিষ্ট নই, কুরআন-সুন্নাহ মানতে আদিষ্ট- | |
মাযহাবী রায় বা মতামতগুলো হলো তায়াম্মুমের মতো——————– | |
অধ্যায়-৪: মাযহাব সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর——————- | |
চার মাযহাবই কি হক্বের উপর প্রতিষ্ঠিত?——————————— | |
চার মাযহাব সম্পর্কে রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ভবিষ্যদ্বাণী———————— | |
হানাফী মাযহাবের অনুসারী অর্থ কি?————————————- | |
নির্দিষ্ট মাযহাবের তাক্বলীদ করা সুস্পষ্ট বিদ’আত————————- | |
মাযহাব মেনে চলার কোনো ওহী আছে কি?—————————— | |
মুসলিমদের জন্য দল-উপদলে বিভক্ত হওয়ার সুযোগ আছে কি?———- | |
মুসলিম উম্মাহর দল-উপদলে বিভক্ত হওয়ার কারণসমূহ—————— | |
মাযহাবী কোন্দল, গোঁড়ামী ও বিদ্বেষ অতীতকাল থেকেই এক ও অভিন্ন ইসলামের বর্ণনাতীত ক্ষতি করে আসছে———————————- | |
হক্ব গ্রহণের সবচেয়ে বড় বাঁধা হলো শয়তান—————————– | |
কতক লোক কুরআন-হাদীসের জ্ঞান ছাড়াই অনর্থক বাক-বিতণ্ডা করে—- | |
আল্লাহর রহমতের দোহায় দিয়ে বিদ’আতকে জায়েয করার চেষ্টা——- | |
আমরা ইমাম আবু হানীফাকে শরীয়তদাতা মনে করি না, বরং ব্যাখ্যাকারী মনে করি—————————————————————– | |
মাযহাবী মতামত বা রায়কে সহীহ হাদীসের উপরে প্রাধান্য দেওয়া ‘বিধানগত শিরক’——————————————————– | |
অন্ধভাবে ফিক্হ বা রায় মান্যকারীরা সুন্নাত বিরোধী হয়ে ওঠে———— | |
অধিকাংশ মানুষের আমল কোনো শরীয়তের দলিল নয়——————- | |
আধুনিক যুগেও কেন এদেশে শিরক বিদ’আতের এতো সয়লাব?——— | |
এতো বড় বড় আলিম, মুফতি তারা কি ভুল করতে পারেন?————– | |
গোঁড়া মাযহাবপন্থী আলিমশ্রেণী পরোক্ষভাবে শরীয়তের বিরোধিতা করেন- | |
পরোক্ষভাবে শরীয়ত বিরোধিতাকারী আলিমদের অনুসরণের ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি বলেন?———————————- | |
শরীয়তের যাবতীয় আহকাম কুরআন ও সহীহ হাদীসের দলিল ব্যতীত গ্রহণ করা নিষিদ্ধ——————————————————— | |
আমাদের আমলেরও দলিল রয়েছে————————————— | |
শরীয়তের দলিল ব্যতীত দ্বীনী বিষয়ে মুখ খোলা হারাম——————- | |
আপনারাও তো শায়েখদের তাক্বলীদ করেন——————————- | |
সত্য গোপনকারী-বিকৃতকারী আলিমদের ব্যাপারে আল্লাহর হুঁশিয়ারী—— | |
যারা ভ্রান্ত আলিমের অনুসারী তাদেরকে ক্বিয়ামতের মাঠে আক্ষেপ করতে হবে ও শাস্তি পেতে হবে————————————————– | |
সুন্নাতকে ছোটোখাটো বিষয়, খুঁটিনাটি বিষয়, বাড়াবাড়ি ইত্যাদি বলা যাবে কি?———————————————————————- | |
মুক্তিপ্রাপ্ত জান্নাতী দল কোনটি?——————————————- | |
এই উম্মাতের ৭৩ দলের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট দল কোনটি হবে?——– | |
মুষ্টিমেয়, অল্পসংখ্যক লোক ‘মুক্তিপ্রাপ্ত দলের’ অনুসারী হবে————— | |
দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না, দ্বীনে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করতে হবে | |
যুগের পরিস্থিতি অনুযায়ী কুরআন-হাদীসের কোনো বিধানকে অকার্যকর মনে করা যাবে কি?—————————————————— | |
প্রত্যেকের জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরয———————————– | |
যাচাই কেন করবেন?—————————————————– | |
সাধারণ মানুষের জন্য হাদীস বুঝা আসলেও কি কঠিন?—————— | |
আমাদের দ্বীন পরিপূর্ণ ও সুস্পষ্ট—————————————— | |
আল্লাহ তা’আলা কাদেরকে হিদায়াত দান করেন?———————— | |
আল্লাহ তা’আলা কাদেরকে হিদায়াত দান করেন না?——————— | |
প্রবৃত্তি বা নিজের খেয়াল-খুশির অনুসরণ হক্ব গ্রহণে বড় বাঁধা————- | |
‘উলূল আমরের’ অপব্যাখ্যা হক্ব গ্রহণে আরেক বাঁধা———————– | |
কুরআন ও সহীহ হাদীসের কথা শুনলে এক শ্রেণীর মানুষ রেগে যান কেন?——————————————————————– | |
বাংলা বুখারী পড়ে পড়ে মানুষ কি গোমরাহ হচ্ছে?———————— | |
ইতা’আত বা আনুগত্য কেবল শরীয়ত অনুমোদিত বিষয়ে—————– | |
সহীহ হাদীস কি———————————————————- | |
সহীহ হাদীসকে ফিতনা মনে করা অজ্ঞতা——————————– | |
য’ঈফ হাদীস কি?——————————————————– | |
য’ঈফ হাদীস কি আমলযোগ্য?——————————————– | |
সুন্নাত এর একমাত্র উৎসই হলো সহীহ বা গ্রহণযোগ্য হাদীস————- | |
রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা বলতে কি বুঝায়?————— | |
‘জায়েয’ জিনিসটা বর্জন করাই হলো সুন্নাত—————————— | |
বিনষ্ট সুন্নাত পালন করা ও পুনর্জীবিত করার পুরষ্কার——————- | |
বিদ’আত কি?———————————————————— | |
ইসলামী শরীয়তে ‘বিদ’আতে হাসানাহ্’ বলে কিছু আছে কি?————- | |
কি কারণে বিদ’আতীরা বিদ’আত ত্যাগ করে না?————————- | |
বিদ’আতী কাজে সহযোগীতা করলেও আল্লাহর লা’নত——————– | |
যে কোনো হাদীসের কিতাবে শুধু হাদীস উল্লেখ থাকলেই কি তা মান্য করা যাবে?————————————————————— | |
হাদীসের নামে যা কিছু বলা হয়, তার সবই ‘সহীহ’ নয়—————— | |
মাযহাবপন্থীরা কবরের চতুর্থ প্রশ্নের উত্তর কি দিবেন?——————– | |
জেনারেল শিক্ষিতদের জন্য দু’টি কথা———————————- | |
অধ্যায়-৫: আহলে হাদীসের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ—————— | |
আহলে হাদীসের উৎপত্তি কবে থেকে?———————————— | |
আহলে হাদীসের উৎপত্তি সাহাবীযুগ থেকেই এবং সকল সাহাবী ও তাবেঈগণ নিজেদের আহলে হাদীস বলতেন—————————— | |
আহলে হাদীসের সংজ্ঞা————————————————— | |
আহলে হাদীসগণ বিশ্বে বিভিন্ন নামে পরিচিত—————————– | |
আহলে হাদীসগণের বৈশিষ্ট্য———————————————– | |
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ইসলামের আগমন কাদের দ্বারা হয়?—————- | |
এ উপমহাদেশে প্রকৃত ওহী ভিত্তিক ইসলামের বিকৃতি যেভাবে শুরু হয়েছিল—————————————————————— | |
হাদীস গ্রন্থসমূহের দুষ্প্রাপ্যতাও আহলে হাদীসদের অস্বিত্ব বিলীনের আরেকটি কারণ ছিল—————————————————– | |
ইসলামের প্রাথমিক যুগের আহলে হাদীসগণের অস্তিত্ব কি একেবারেই মুছে গিয়েছিল?———————————————————– | |
বর্তমান সময়ের আহলে হাদীস দলটি কি নতুন সৃষ্ট দল? নাকি পুরাতন ও প্রকৃত ইসলামেরই মুভমেন্ট ও পুনঃজাগরণ?—————————– | |
আহলুল হাদীস ও আহলুল রায়গণের (হানাফী) পার্থক্য——————– | |
আহলে হাদীসই যে একমাত্র হক্বপন্থী দল তা কিভাবে বুঝবেন?———– | |
তাক্বলীদ যদি না করে, তবে একজন নিরক্ষর বা কুরআন-হাদীস বোঝে না- এমন মানুষ কিভাবে ধর্ম পালন করবে?—————————— | |
ইমাম আবু হানীফা (রহিমাহুল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআলা) কোনো তাবেঈর কথারও অন্ধ অনুসরণ করতেন না————————————————————— | |
ইমাম আবু হানীফা (রহিমাহুল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআলা) নিজেও আহলে হাদীস ছিলেন—————— | |
যারা বিভ্রান্তিতে আছেন বা বলেন একেক আলিম একেক কথা বলেন, আমি এখন যাবো কোথায়?———————————————– | |
মদীনার আলিমদের সম্পর্কে রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ভবিষ্যদ্বাণী—————– | |
যারা বলেন এটাও ঠিক, ওটাও ঠিক————————————– | |
মাযহাবপন্থীদের একটি প্রচলিত উক্তি————————————- | |
আপনি মাযহাবী ফিক্হের ফাতাওয়ার পর্যায়গুলো বিবেচনা করে মাযহাবী হোন——————————————————————— | |
নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহিমাহুল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআলা) এর প্রতি হানাফীদের এতো বিদ্বেষ কেন?—- | |
হক্বের বিরুদ্ধে ভ্রান্ত আলিমদের অপপ্রচারের কিছু নমুনা—————— | |
প্রচলিত তাবলীগ জামা’আত হক্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে বড় একটি বাধা——— | |
উপসংহার—————————————————————- |
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
আলহামদুলিল্লাহ, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র মহান আল্লাহ তা’আলার জন্যই, যিনি সৃষ্ট জাহানের একমাত্র প্রতিপালক। যিনি এই আসমানসমূহকে এবং যমীনকে সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে এবং এরপর আরশে সমুন্নত হয়েছেন। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর মহান রাসূলের উপর, তাঁর পরিবারবর্গ, সঙ্গীগণ ও অনুসারীগণের উপর। মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! অজ্ঞতা ও মূর্খতা মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। পথ না চিনলে যেমন মানুষকে বিভিন্ন ভ্রান্ত পথে ঘোরাঘুরি করতে হয়, তেমনি দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জন না করার জন্য মানুষকে সীরাতে মুস্তাকীমের একটি মাত্র সরল পথ ছেড়ে বিভিন্ন ভ্রান্ত পথের অনুসারী হতে হয়। সঠিক ওহীর জ্ঞানের অভাবেই বিভিন্ন ভ্রান্ত মতবাদ ও অজ্ঞতার মহামারী ছড়িয়ে পড়ে। কেবলমাত্র ওহীর (কুরআন ও সহীহ হাদীস) জ্ঞান অর্জন না করার জন্যই একজন মানুষ তার অন্তরে কোন ধরণের আক্বীদা রাখবে আর কোন ধরণের আক্বীদা রাখতে পারবে না, তা বুঝতে পারে না। না জানার কারণেই একজন মানুষ তার নিজের মনের অজান্তেই বিদ’আতী এবং শিরকী আক্বীদা পোষণ করে, যা জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
রাসূল (সা:) বলেন:
মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
“অচিরেই আমার উম্মাহ ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। একটা দল ব্যতীত তাদের সকল দলই জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
জীবনে চলার পথে শুধুমাত্র একটিই সঠিক জীবন পদ্ধতি রয়েছে। কোনো বান্দার নাজাতের জন্য শুধুমাত্র একটিই সঠিক, বিশুদ্ধ ও নির্ভুল পথ রয়েছে। আর সেটা হলো সালাফিয়াত বা সালাফী জীবন পদ্ধতি। এটাই হলো মহান আল্লাহর একমাত্র সরল পথ। একমাত্র এ পথের পথিকরাই হলো ইহকালে সাহায্যপ্রাপ্ত এবং পরকালে মুক্তিপ্রাপ্ত দল। এ পথই হলো ৭৩ দলের মধ্যে একমাত্র পরিত্রাণ লাভকারী দল। এটাই হলো ইসলামের মূল স্রোতধারা। মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
আমাদের দেশের অধিকাংশ মুসলিম শুধুমাত্র কুরআন-হাদীসের সঠিক ইল্ম অর্জন না করার কারণেই এ নাজাতপ্রাপ্ত দলটির সাথে সুপরিচিতি নয়। ইসলাম বলতে বুঝেই নিয়েছি আমরা কতিপয় আমলের সমষ্টিকে। অথচ আমলের পূর্বে যে আক্বীদা বিশুদ্ধ করতে হবে, এটা এ দেশের মাযহাবী ইসলাম আমাদের শেখায় না। আমাদের সমাজে যারা আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামা’আতের অন্তর্ভূক্ত হওয়ার দাবী করে, তাদের অধিকাংশই সঠিক ও বিশুদ্ধ আক্বীদা হতে অনেক দূরে অবস্থান করছে। এ দেশের অধিকাংশ আলিমশ্রেণীই সুন্নাহর লেবাস পরিধান করে, সুন্নাহ থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে রাসূল (সা:) এর সহীহ সুন্নাহর বিরুদ্ধেই কথা বলছেন। মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
সকল মুসলিমদের জন্য ওয়াজিব হলো, সুন্নাহর আবরণে যে সমস্ত ভ্রান্ত দল ও মতবাদ সাধারণ মানুষদেরকে ধোঁকা দিচ্ছে এবং বিদ’আত, ফিতনা ও গোমরাহীতে লিপ্ত করাচ্ছে তাদের ব্যাপারে পূর্ণ সতর্ক থাকা। ফিতনার স্থানসমূহ ও ভ্রান্ত ফিরকাগুলো থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করা। মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
ভূমিকা
বিগত উম্মতদের অধঃপতনের মূলে সর্বাপেক্ষা ক্রিয়াশীল উপাদান ছিল, তারা তাদের আসমানী কিতাব বাদ দিয়ে মানব রচিত কিতাব, আলিম ও ধর্মযাজকদের অন্ধ অনুসরণ করে দলে-দলে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। তাই এ মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ তা’আলা সতর্ক করে বলেছেন: মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
وَ لَا تَكُوۡنُوۡا مِنَ الۡمُشۡرِكِیۡنَ
مِنَ الَّذِیۡنَ فَرَّقُوۡا دِیۡنَهُمۡ وَ كَانُوۡا شِیَعًا
“আর তোমরা ঐ সকল মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা নিজেদের দ্বীনে মতভেদ সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে।”[2]
আল্লাহ তা’আলা এ মুসলিম উম্মাহকে তাদের ঐক্য অক্ষুণ্ণ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন এবং দলে দলে বিভক্ত হতে নিষেধ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন:
وَ اعۡتَصِمُوۡا بِحَبۡلِ اللّٰهِ جَمِیۡعًا وَّ لَا تَفَرَّقُوۡا ۪
“আর তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো এবং দলে-দলে বিভক্ত হয়ো না।”[3]
আর কিভাবে এ মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ থাকবে তার মানদণ্ডও নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আর তা হলো কুরআন ও সহীহ হাদীসকে আঁকড়ে ধরা। মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
এতদ্বসত্ত্বেও এ মুসলিম উম্মাহ আল্লাহর আদেশ, নিষেধ ও সতর্কবাণী উপেক্ষা করে দলে-দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে এবং অখণ্ড ইসলামকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
ইসলামের স্বর্ণযুগের মানুষগুলো (অর্থাৎ সাহাবী, তাবেঈ ও তাবে-তাবেঈগণ) একমাত্র আল্লাহর মনোনীত দ্বীন ইসলাম নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন। তাঁরা সকলেই কুরআন ও রাসূল (সা:) এর হাদীসকেই দ্বীন মনে করতেন। কিন্তু স্বর্ণের মানুষগুলোর স্বর্ণযুগ অতিবাহিত হওয়ার পর উদ্ভব হলো আরো চারটি দ্বীন বা মাযহাবের এবং এই চার মাযহাবকেই দ্বীন মনে করে মান্য করা ওয়াজিব বলে চালিয়ে দেওয়া হলো।মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
এ চার মাযহাব তৈরী করে আল্লাহর দেওয়া একমাত্র দ্বীন ইসলামকে ভেঙ্গে চৌচির করা হলো। খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে গেলো দ্বীনের মূলনীতি। কালক্রমে বিভক্ত হয়ে পড়লো এ মুসলিম জাতি। মাযহাবী বিভক্তির ফলেই বিবিধ ফিতনা, বিভ্রান্তি ও গোঁড়ামীর জন্ম হয়েছে। যুগের পর যুগ ধরে এই মাযহাবী গোঁড়ামীই মানুষদেরকে সত্য ও হক্বের পথ থেকে দূরে রাখছে। মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
এই মাযহাবী গোঁড়ামীই ৫৪২ বছর মুসলিমদেরকে কাবাঘরে একসঙ্গে সালাত আদায় করতে দেয়নি। মাযহাবী বিভক্তি ও গোঁড়ামীর ফলেই আজ মুসলিম উম্মাহ বিভিন্ন দল ও মতে বিভক্ত এবং নিজ নিজ পছন্দনীয় আলিম বা নেতৃবর্গের আনুগত্যে নিমগ্ন। প্রত্যেক মাযহাবপন্থীরাই যেনো তাদের নিজ নিজ মাযহাবকেই দ্বীন বানিয়ে নিয়েছে। মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
জাহেলী যুগে সাধারণ জনগণকে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় তাদের সমাজপতি ও ধর্মনেতাদের তৈরী করা ধর্মীয় রীতি ও সামাজিক আইনের উপরে নির্ভর করতে হতো। ইয়াহুদী-নাসারাগণ তাদের আলিম ও ধর্মযাজকদেরকে ‘রব’ এর মর্যাদা দান করেছিল। ভয় ও ভক্তির চোরাগলি দিয়ে এ সকল আলিম ও ধর্মযাজকগণ হরণ করে নিয়েছিল সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা। মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
অন্যদিকে এ মুসলিম উম্মাহর ধর্মনেতারাও নিজেদের তৈরী কল্পিত মাযহাব ও তরীকাসমূহের বেড়াজালে সাধারণ জনগণকে বন্দী করে ফেলেছেন। জায়েয-নাজায়েয, সুন্নাত-বিদ’আত, তাওহীদ-শিরক্, এমনকি হালাল-হারামের বিষয়গুলোও নির্নীত হচ্ছে এই মাযহাবপন্থী ধর্মনেতাদের তৈরী নিজস্ব ফাতাওয়ার উপরে। ফলে ইয়াহুদী-নাসারাদের আলিম ও ধর্মযাজকদের ন্যায় এ মুসলিম উম্মাহর এই সকল মাযহাবপন্থী ধর্মনেতারাও প্রকারান্তরে জনগণের ‘রব’ এর আসন দখল করেছেন।মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
যুগের পর যুগ ধরে মাযহাবপন্থী আলিমশ্রেণী তাদের মাযহাবের দোহায় দিয়ে এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের সহীহ সুন্নাত থেকে দূরে রাখছেন এবং বিদ’আতে লিপ্ত করাচ্ছেন। এদেরই ভীড়ে, এদেরকে এড়িয়ে নিরপেক্ষভাবে কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
বাংলাদেশের অধিকাংশ সাধারণ মানুষ জানেই না যে, তারা ওহীভিত্তিক ধর্মের বিপরীতে মানব রচিত মাযহাবী ফিক্হভিত্তিক দ্বীন পালন করছে। এ দেশের অধিকাংশ সাধারণ মানুষই না জেনে, না বুঝে এই মাযহাবী ফিক্হে আটকা পড়ে ওটাকেই দ্বীন ভেবে ধর্ম পালন করছে।
জন্মসূত্রে একজন মানুষ যেমন মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ইত্যাদি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী হয়, তেমনি হানাফী মাযহাবের ব্যাপক আধিপত্যের ফলে জন্মসূত্রে এ উপমহাদেশের অধিকাংশ মানুষই আমরা হানাফী। কিন্তু ওহীভিত্তিক কুরআন-হাদীসের ইসলাম আর মাযহাবী ফিক্হের ইসলাম এক বস্তু নয়।
এ মুসলিম উম্মাহর বিভ্রান্তির উৎস ও বিষয়বস্তু হিজরী তৃতীয় শতকে যা ছিল, বর্তমানেও তা-ই রয়েছে। ওহীর অবমূল্যায়ন বর্তমান যুগেও একইভাবে উম্মাতের সকল ফিতনা, বিভ্রান্তি ও মতানৈক্যের মূল বিষয়।
এ গ্রন্থের মাধ্যমে আমরা হানাফী মাযহাবের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, কুরআন-সুন্নাহর পরিবর্তে মাযহাবী ফিক্হ মান্য করাকে বাধ্যতামূলক করলো কারা, এ উপমহাদেশে হানাফী মাযহাবের প্রবেশ ও বিস্তার কবে থেকে, এ উপমহাদেশের হানাফী মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষাব্যবস্থা কি ভিত্তিক, হানাফী উল্লেখযোগ্য ফিক্হের ইতিহাস ও পরিচয় ইত্যাদি সম্পর্কে দলিলভিত্তিক আলোচনা করার চেষ্টা করব। এছাড়া এ গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এ দেশের সরলমনা সাধারণ মানুষদের মনে ঘুরপাককৃত মাযহাব সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের কুরআন ও সহীহ হাদীস ভিত্তিক উত্তর। গ্রন্থটিতে আরো উল্লেখ থাকবে আহলে হাদীসদের পরিচয়, আহলে হাদীসরাই কি সাহাবীযুগ থেকে চলে আসা নাজাতপ্রাপ্ত একটি দল কি-না, এ উপমহাদেশে আহলে হাদীসদের প্রবেশ কবে থেকে ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক দলিলভিত্তিক সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
বইটি পাঠ করার শুরুতে সাধারণ অনেক মানুষদের মনেই (যারা মাযহাব কি, মাযহাবী ফিক্হের ইসলাম কি ইত্যাদি বিষয়ে কিছুই জানেন না) প্রশ্ন হতে পারে, এগুলো তো মনে হচ্ছে গল্প আর কাহিনী। পাঠকবৃন্দ! এই গল্প আর কাহিনীর মাঝেই লুকিয়ে আছে এ উপমহাদেশের ওহী ভিত্তিক ইসলাম আর মানব রচিত তরীকা ভিত্তিক ইসলামের মূল রহস্য। প্রতিটা বিষয় বুঝে বুঝে পাঠ করতে থাকুন। বইটি পড়া শেষে সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ইন্শাআল্লাহ।
মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
বইটি পাঠের পূর্বে কিছু দিক-নির্দেশনা
১) এই বইটির সমস্ত আলোচনাই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরের অধ্যায়গুলোর আলোচনা অনেকাংশেই পূর্বের অধ্যায়ের উপর নির্ভরশীল। সম্মানিত পাঠকবৃন্দকে বইটির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পাঠ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
২) পাঠকবৃন্দকে মুক্ত মন ও নিরপেক্ষ দৃষ্টি নিয়ে বইটি পাঠ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। স্বভাবতই আমি আমার নিজস্ব ব্যক্তিগত মতামত বা কোনো দলের মতামতকে প্রতিষ্ঠার জন্য বইটি লিখিনি। অথবা কোনো মতামতের প্রতি চ্যালেঞ্জ করেও বইটি লেখা হয়নি।
৩) এ বইটির মধ্যে অগণিত ইমাম, আলিম, সুপ্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও ফক্বীহদের নাম বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। প্রত্যেকের নামের সাথে প্রত্যেক স্থানে দু’আর ইঙ্গিত হিসেবে ‘(রহ:)’ লেখা সম্ভব হয়নি। পাঠকদের প্রতি অনুরোধ, সকল আলিমের নামের সাথে ‘রাহিমাহুল্লাহ’ বলে তাঁদের জন্য দু’আ করবেন। তাঁদের মাধ্যমেই আমরা দ্বীন পেয়েছি এবং তাঁদের জন্য দু’আ করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।
৪) বইটিতে আমি আমার সাধ্যমতো সকলক্ষেত্রে শুধুমাত্র ‘সহীহ হাদীসের’ উপর নির্ভর করেই দলিল পেশ করার চেষ্টা করেছি। ক্ষেত্রবিশেষে দু’এক জায়গায় ‘হাসান’ হাদীস দিয়েও উদ্ধৃতি পেশ করেছি। সেক্ষেত্রে হাদীসের মানের পাশে ‘হাসান’ শব্দটি উল্লেখ করেছি। কোনো য’ঈফ হাদীসের দলিল গ্রন্থটিতে স্থান পায়নি।
৫) বইটিতে তথ্যের উৎসগুলোর গ্রন্থের নাম, পৃষ্ঠা নং, হাদীস নং উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী পাঠকবৃন্দকে তথ্য সূত্রের মূল উৎস থেকে জানার জন্য অনুরোধ করা হলো।
৭) আমার ইল্মী সীমাবদ্ধতার কারণে বইয়ের মধ্যে কিছু ভুলভ্রান্তি থেকে যাওয়াই স্বাভাবিক। অতএব পাঠক সমাজের নিকট আকুল আবেদন, বইটিতে তথ্যগত ও উপস্থাপনাগত যে কোনো ভুলত্রুটি পরিলক্ষিত হলে তা আমাদের অবহিত করলে, পরবর্তী সংস্করণে সংশোধনের প্রতিশ্রুতি রইল, ইন্শাআল্লাহ।
[1] আবু দাউদ, হা/৪৫২৬; ইবনু মাজাহ, হা/৩৯৯২; তিরমিযী, হা/২৬৪২; হাকিম, ১/১২৯
[2] সূরা আর-রূম: ৩১-৩২
[3] আলে-ইমরান: ১০৩

মাযহাবী ফিকহের অন্তরালে
Reviews
There are no reviews yet.