তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ)
বই: তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ)
অনুবাদ: অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক
প্রকাশনায় : তাওহীদ পাবলিকেশন্স
অর্থানুবাদ: আরবী ও বাংলা
বিষয়: কুর’আন ও তাফসীর
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১১৪৫, ধরণ: নতুন ছাপা, গ্লোসি পেপার
সম্পাদনায়: ড. আব্দুল্লাহ ফারুক, মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ, শাইখ আব্দুর রব আফ্ফান, আবূ রাশাদ আজমাল বিন আব্দুন নূর প্রমুখ। সৌদি আরবেও এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিতঅল্পশিক্তিত পাঠক পাঠিকাসহ গবেষক, অনুবাদক, বক্তা আলিম, ছাত্র ও সর্বসাধারনের জন্য।
বইটি কিনতে কিল্ক করুন: তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ)
আরো জানতে কিল্ক করুন: তাওহীদ পাবলিকেশন্স
আল-কুরআন আরবী ভাষায় নাযলিকৃত। অধকিাংশ বাংলাভাষীর পক্ষে বাংলা অনুবাদ ছাড়া কুরআন বুঝার উপায় নইে। এ র্পযন্ত বহু আলমি তাফসীর তাইসীরুল কুরআন গ্রন্থটরি বঙ্গানুবাদ করলওে তাঁরা অনকেইে উচ্চাঙ্গরে ভাষা ব্যবহার করছেনে। ফলে স্বল্প শক্ষিতি এ বশিাল সমাজরে নকিট এ র্মর্মাথ যমেন রয়ে গছেে র্দুবোধ্য, তমেনি এর র্মর্মাথ বোঝার ব্যাপারওে দখো যায় উদাসীনতা। আল-কুরআনরে অনুবাদকে সহজ সরল ভাষায় এবং সহীহ আক্বীদা অনুযায়ী অনুবাদরে দকি দয়িে তাওহীদ পাবলকিশেন্স প্রকাশতি ুতাফসীর তাইসীরুল কুরআন” অনন্য। হাজারো সহীহ আক্বীদা ও মানহাজরে অনুসারীগণ এই অনুবাদরে উপর নর্ভির করে থাকনে।
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ)
অর্থানুবাদ: অধ্যাপক মোহাম্মাদ মোজাম্মেল হক
সম্পাদনায়: ড. আবদুল্লাহ ফারুক
(পিএইসডি আলীগড়), সউদী দূতাবাসের অনুবাদ কর্মকর্তা ও সাবেক চেয়ারম্যান, (ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ)
চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ
কামিল, মাদরাসা-ই আলিয়া ঢাকা, বি এস অনার্স, কিং সঊদ ইউনিভার্সিটি রিয়াদ;
এম এ এরাবিক, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়
সাবেক অনুবাদ কর্মকর্তা, রাজকীয় সউদী দূতাবাস, বাংলাদেশ;
প্রিন্সিপ্যাাল অফিসার, সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস ইন বাংলাদেশ
সম্পাদনা সহযোগী:
হাফিয আনিসুর রহমান (লিসান্স, কুল্লিয়াতুল কুরআন, মাদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
আবদুর রব ‘আফফান (লিসান্স, মাদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
মুহাম্মাদ মুকাম্মাল হক (বি এ অনার্স, কিং সউদ ইউনিভার্সিটি, রিয়াদ)
আবূ রাশাদ আজমাল বিন আবদুন নূর (লিসান্স, মাদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
হাফিয মুহাম্মাদ সানাউল্লাহ (লিসান্স, মাদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
মুহাম্মাদ ইবরাহীম আল-মাদানী (দাঈ, ধর্ম মন্ত্রণালয় সু‘উদী আরব, দক্ষিন কোরিয়া)
আবদুল ওয়াসে আবদুল কাইয়ূম (দাওরায়ে হাদীস, ঢাকা)
প্রকাশনায়:
তাওহীদ পাবলিকেশন্স
ঢাকা, নিউইয়র্ক
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) এর বিশেষ বৈশিষ্ট্যসমূহ
১. তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) গ্রন্থটি অতি সহজ ভাষায় অনূদিত।
২. আসমা ওয়াস-সিফাত, অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার গুণবাচক নাম সম্বলিত আয়াতসহ আক্বীদাহ বিষয়ক আয়াতগুলোর সঠিক তরজমা তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) গ্রন্থটিতে।
৩. তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) গ্রন্থটি আয়াত সংশিষ্ট হাদীসগুলো শুধুমাত্র বুখারী ও মুসলিম থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।
৪. সহীহ হাদীসগুলোর নয়টি গ্রন্থের (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, আবূ দাউদ, ইবনু মাজাহ, মুওয়াত্তা, মুসনাদ আহমাদ ও দারেমী) আলোকে তাখরীজ ও সহায়ক হাদীস নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। বুখারী, মুসলিম ও ইবনু মাজাহর নম্বর নেয়া হয়েছে ফুয়াদ আবদুল বাকী সম্পাদিত গ্রন্থ থেকে। তিরমিযীর নম্বর নেয়া হয়েছে আহমাদ শাকের সম্পাদিত গ্রন্থ থেকে। আবূ দাঊদের নম্বর নেয়া হয়েছে মুহীউদ্দীন সম্পাদিত গ্রন্থ থেকে। আহমাদের নম্বর নেয়া হয়েছে এহইয়াতুত তুরাস সম্পাদিত গ্রন্থ থেকে। মুওয়াত্তা মালিকের নম্বর তার নিজস্ব। সর্বশেষে দারেমীর নম্বর নেয়া হয়েছে আলামী ও রামযালী সম্পাদিত গ্রন্থ থেকে। অর্থাৎ হাদীসের বিস্ময়কর সূচীগ্রন্থ আল-মু‘জামুল মুফাহরাস লি আল-ফাযিল হাদীস অবলম্বনে হাদীস নম্বর সংযোজিত হয়েছে।
৫. আল-কুরআনুল কারীমের বিষয়ভিত্তিক ধারাবাহিক সূচীপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে প্রায় আড়াই হাজার বিষয়ে প্রথমে সূরা নম্বর ও পরে আয়াত নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।
৬. বাংলা বিষয়সূচীর সাথে সাথে আরবী ভাষাতেও বিষয়গুলোকে উল্লেখ করা হয়েছে তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) গ্রন্থটিতে এবং আরবী বাক্যের হারাকাত দিয়ে সর্বসাধারণ ও শিক্ষাথীদের পাঠোপযোগী করা হয়েছে।
৭. তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) গ্রন্থটি বাংলাভাষী পাঠকদের সহজ পাঠের জন্য আরবির বিশেষ ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
৮.তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) গ্রন্থটি সর্বোপরি উন্নতমানের কাগজে মুদ্রিত হয়েছে এবং মজবুত ও আকর্ষণীয়ভাবে বাইন্ডিং করা হয়েছে।
অনুবাদকের কথা
نحمده ونصلي على رسوله الكريم
আমি আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে করুণাময় আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়া তা‘আলার শুকরিয়া আদায় করছি যিনি দুনিয়ার মানুষের প্রতি তাঁর সর্বশেষ বাণী আল-কুরআনুল কারীমের সঙ্গে সংশিষ্ট হওয়ার দুর্লভ সুযোগ আমাকে দান করেছেন। আমি মা‘আনিল কুরআনের অনুবাদক নই। এ সম্পর্কিত আরবী ভাষার গভীর জ্ঞান আমার নেই। কুরআনকে বুঝার অদম্য স্পৃহা নিয়ে আমি কয়েকটি অনুবাদগ্রন্থ অধ্যয়ন করেছি। কিন্তু সেগুলোতে কুরআনকে বুঝার, কমের পক্ষে আয়াতগুলোর বাংলা মর্মার্থ উদ্ধার করার ব্যাপারে আমি অনেক ক্ষেত্রেই হতাশ হয়েছি। বহুদিন থেকেই মনে আশা পোষণ করছিলাম কুরআনের যদি এমন একটা তরজমা হত যা কুরআনের পাঠক তেমনিভাবে বুঝতে পারবেন যেভাবে তারা নিজ মাতৃভাষায় লিখিত গ্রন্থ বুঝে থাকেন। একদিন আমার পুত্র তাওহীদ পাবলিকেশন্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ ওয়ালীউল্লাহর উদ্যোগে ও আগ্রহে এ বিশাল কাজে হাত দিলাম। আমার বিদ্যা কম থাকলেও আল্লাহর প্রতি ভরসা আছে অনেক অনেক বেশি। তাই আমি সব সময়ই দৃঢ় চিত্ত ছিলাম যে আল্লাহর ফযল ও করমে এ কাজটি আমি করতে পারব। আমি সামনে রাখলাম আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত আল-কুরআনের তরজমা যা খুবই যথার্থ ও উচ্চাঙ্গের অনুবাদ গ্রন্থ। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ পাঠক এর অর্থ বোঝার সামর্থ্য রাখে না। সামনে রাখলাম মাওলানা মুহীউদ্দিন খান কৃত তরজমা। এটি বেশ সুন্দর ও ঝরঝরে ভাষায় লেখা। কিন্তু এটির ভাষাও উচ্চাঙ্গের বৈকি। আরো সামনে রেখেছি মদীনা মুনাওওরার বাদশাহ ফাহাদ প্রিন্টিং কমপ্লেক্স প্রকাশিত ড. তাকীউদ্দীন হিলালী ও ড. মুহাম্মদ মুহসিন খান কৃত ইংরেজি তরজমা এবং খ্যাতনামা ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মওদূদীর তাফহীমুল কুরআনের মাওলানা আব্দুর রহীম কৃত তরজমা। তরজমার মাঝে বন্ধনীতে প্রয়োজনীয় কিছু কথা লিখে কুরআনের আয়াতগুলো বুঝিয়ে দেয়ার ব্যাপারে আমি শেষোক্ত গ্রন্থদ্বয় হতে সাহায্য গ্রহণ করেছি। অবশেষে পেয়েছি কোলকাতার হাফিয মাওলানা আইনুল বারী আলিয়াভীর তরজমা। এটি আমাকে কিছু কিছু আয়াতের সঠিক অর্থ বুঝতে সাহায্য করেছে। আরবী ভাষায় যাঁদের দক্ষতা আছে এমন বিদ্বজ্জনের দ্বারা আমার অনুবাদকর্ম দেখিয়ে নেয়ার প্রয়োজন ছিল খুব বেশি। এ দায়িত্ব পালন করেছেন পিএইচডি আলীগড়, সউদী দূতাবাসের অনুবাদ কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ ফারূক এবং মাদরাসা-ই আলিয়া ঢাকার এমএম, রিয়াদের কিং সঊদ ইউনিভার্সিটি থেকে বিএ অনার্স; ঢাকার দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এরাবিকে এমএ (গোল্ড মেডালিস্ট), বাংলাদেশস্থ সউদী দূতাবাসের সাবেক অনুবাদ কর্মকর্তা ও বর্তমানে সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড অব ইসলামী ব্যাংকস বাংলাদেশ এর সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ। এ কাজে সাহায্য করেছেন মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লেসান্স (কুল্লিয়াতুল কুরআন) এবং মাদরাসা মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, ঢাকা’র মুদাররিস হাফিয আনিসুর রহমান।
আমি আশা করি বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী কুরআনের পাঠক ও গবেষক এবং ইসলামী গ্রন্থপ্রণেতাগণ এ অনুবাদের মাধ্যমে কুরআনের কাছাকাছি পৌঁছতে পারবেন। আল্লাহর সঙ্গে তাদের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠবে। তাঁরা ইসলামের নাবী ও ইসলামকে গভীরভাবে চিনতে পারবেন এবং ইসলামী জ্ঞান-গৌরব নতুন উদ্দীপনা লাভ করবে। অনুবাদের ক্ষেত্রে কোন প্রকার ত্রুটি বিচ্যুতি উল্লেখ ও দিক নির্দেশনা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করা হবে। আল্লাহ! তুমি আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে গ্রহণ কর। আমীন!
আল্লাহ তাওফীক দানকারী এবং মুহাম্মাদ ﷺ এর উপর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক।
প্রকাশক
অফুরন্ত গুণগান একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য নির্দিষ্ট যিনি মানব ও জ্বিনের হিদায়াতের জন্য কুরআন অবতীর্ণ করেছেন। যা অতি সহজ, সরল, সুস্পষ্ট, মর্মস্পর্শী ও মু‘যিজাসম্বলিত একমাত্র আসমানী গ্রন্থ। জান্নাতের ভাষা আরবী, প্রিয় রসূল (ﷺ)- এর মাতৃভাষা আরবী, আর আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন মহাগ্রন্থ আল-কুরআন’কে মহানাবীর মাতৃভাষা আরবীতে নাযিল করেছেন। মহানাবীর প্রতি শত কোটি দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক।
অধিকাংশ বাংলাভাষীর পক্ষে বঙ্গানুবাদ ছাড়া কুরআন বুঝার উপায় নেই। এ পর্যন্ত বহু আলিম এ গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ করলেও তাঁরা অনেকেই উচ্চাঙ্গের ভাষা ব্যবহার করেছেন। ফলে স্বল্প শিক্ষিত এ বিশাল সমাজের নিকট এর মর্মার্থ যেমন রয়ে গেছে দুর্বোধ্য, তেমনি এর মর্মার্থ বোঝার ব্যাপারেও দেখা যায় উদাসীনতা।
বহুদিনের সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা ছিল সর্বসাধারণের নিকট যদি এমন একটি সহজ অনুবাদ পেশ করা যেত, যাতে তারা আল-কুরআনের মর্মোদ্ধারে সক্ষম হতেন।
শেষ পর্যন্ত আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়া তা‘আলা তাঁর কয়েকজন বান্দাকে এ কাজে মনোনীত করলেন। আমার শ্রদ্ধেয় আব্বা অধ্যাপক মোহাম্মাদ মোজাম্মেল হক অদম্য স্পৃহা নিয়ে এ কাজে হাত দিলেন। কয়েক বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) গ্রন্থটির অনুবাদ সম্পাদিত হল। তৎসঙ্গে এর সম্পাদনার গুরু দায়িত্ব অর্পণ করা হলো দু’জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, অনুবাদক, লেখক ড. আবদুল্লাহ ফারূক ও মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহর উপর, যাঁদের পরিচয় গ্রন্থের প্রথমভাগে উল্লেখ করা হয়েছে। মাদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লিসান্স (কুল্লিয়াতুল কুরআন) সনদপ্রাপ্ত এবং মাদরাসা মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, ঢাকা’র মুদাররিস হাফিয আনিসুর রহমানও তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) গ্রন্থটির মুরাজে‘আর কাজে অংশ নেন।
২০০৫ সালের দিকে যখন এর অনুবাদ প্রায় শেষ পর্যায়ে তখন অনুবাদক হাজ্জে গমন করেন। সেখানে গিয়ে দেখা হয় বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলিম সউদী আরবের ইসলামিক সেন্টারে দাঈ হিসেবে কর্মরত আবদুর রব ‘আফফানের সাথে। প্রসঙ্গতঃ তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) গ্রন্থটির কথা উঠতেই তিনি তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) গ্রন্থটি সউদী আরবে ছাপিয়ে সেখানকার বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে নামমাত্র মূল্যে বিতরণের পরিকল্পনার কথা জানান। মূলতঃ শাইখ আবদুর রব ‘আফফানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তরজমাটি শাইখ যাহইয়ান আবদুল্লাহ আযযাহইয়ান এর নিকট পেশ করা হয়। তিনি তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচী) গ্রন্থটিকে সউদী আরবে প্রকাশের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
আমরা সউদী আরবের উস্তায শাইখ যাহইয়ান আবদুল্লাহ আযযাহইয়ানকে (আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নেক খেয়ালকে আরও বিস্তৃত করুন এবং তাঁকে এর উত্তম প্রতিদান দান করুন) শুধুমাত্র সউদী আরবে তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) গ্রন্থটি ছাপানোর অনুমোদন প্রদান করি। অনুবাদক হাজ্জ থেকে ফিরে এসে বাকী কাজ সম্পন্ন করলে আমরা দু’ দফা এর কপি সউদী আরবে পাঠাই। সেখানে আবদুর রব ‘আফফানসহ বাংলাদেশ ও ভারতের ৫ জন বিশিষ্ট আলিম তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) গ্রন্থটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উপ-সম্পাদনার কাজ শেষ করে বাংলাদেশে প্রেরণ করেন। আল্লাহ রব্বুল ‘আলামীন তাদের সকলকে এর উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমীন!
{ وَاللہُ غَالِبٌ عَلٰٓی اَمْرِھ۪ وَلٰکِنَّ اَکْثَرَ النَّاسِ لَا یَعْلَمُوْنَ} (২১) سورة يوسف
আল্লাহর ইরাদা বোঝা মানুষের সাধ্যের বাইরে। তাওহীদ পাবলিকেশন্স থেকে ৬ খন্ডে সহীহুল বুখারীর পূর্ণাঙ্গ বঙ্গানুবাদ বের হয়েছে যা ইতোমধ্যে চারিদিকে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। ঠিক এ সময় তাফসীর ছাপানোর জন্য প্রয়োজনীয় টাকা যোগাড় হবে এ কথা কল্পনাও করিনি। ভেবেছি ইনশাআল্লাহ দু’এক বছরের মধ্যে আমাদের দেশেও তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) গ্রন্থটি ছাপানোর কথা চিন্তা করব। আল্লাহ চাহেতো আগে সউদী আরবে ছাপা হোক। ঘটনাক্রমে এক দ্বীনী বোন (গাফারাল্লাহু লাহা)-কে তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) গ্রন্থটির কথা বললে তিনি তাঁর পরিচিত আরেক দ্বীনী বোনকে এ ব্যাপারে দীর্ঘ মেয়াদী করযে হাসানা প্রদানের জন্য উৎসাহ প্রদান করার সাথে সাথে তিনি রাজি হয়ে যান (জাযাহুমাল্লাহু আহসানুল জাযা ফিদ দারাইন)। ফলশ্রুতিতে আল্লাহর রহমতে এটির মুদ্রণ কাজ তরান্বিত হয়।
এদিকে তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) গ্রন্থটির কাজ চলার সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আসা আলিমদের অনেকেই এটির বিন্যাস পদ্ধতি দেখে তরিৎ প্রাপ্তির জন্য অতিশয় আগ্রহ প্রকাশ করেন। ফলে মুদ্রণের পূর্বেই এর অনেকগুলো কপি বিক্রি হয়ে যায়। আল-হামদু লিল্লাহ।
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ) গ্রন্থটির বহুল পঠন ও দীর্ঘ স্থায়িত্বের কথা চিন্তা করে এর মুদ্রণ, কাগজ, বাঁধাই সকল ক্ষেত্রেই প্রথম শ্রেণীর মান বজায় রাখতে গিয়ে, সর্বোপরি কাগজের অগ্নিমূল্যের কারণে ব্যয় কিছুটা বেড়ে গেছে। আপনাদের ক্রয়কষ্টের জন্য আমরাও সমব্যথী।
ভুল-ত্রুটি এড়ানোর জন্য আমাদের আন্তরিকতার কোন ত্রুটি ছিল না। বিশেষ করে আল-কুরআনুল কারীম মুদ্রণের ব্যাপারে সতর্কতা আরো বেশি অবলম্বন করেছি। তথাপি এর মধ্যে কোনরূপ ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে, সুহৃদ পাঠক যদি তা আমাদের অবগত করেন তাহলে আমরা মনে করব এ কল্যাণকর কাজের অগ্রযাত্রায় আপনিও আমাদের কাতারে শামিল হয়েছেন। আল্লাহ আমাদের অনিচ্ছাকৃত ভুল-ত্রুটিগুলো ক্ষমা করুন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা একাজে জড়িত সকলের জন্য একাজটিকে পরকালে নাজাতের ওয়াসিলা বানিয়ে দিন।
{رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّاﺚ اِنَّکَ اَنْتَ السَّمِیْعُ الْعَلِیْمُ} (১২৭) سورة البقرة
আসুন! আমরা প্রতিদিন কুরআন পড়ি, কুরআনের বাণীকে আত্মস্থ করি। আল-কুরআনের মর্মবাণীকে সহজপাঠ্য ও সহজবোধ্য করে তুলি। ঘরে ঘরে এর চর্চা ও অনুশীলন বৃদ্ধি করে তদনুযায়ী আমল করি। ইনশাআল্লাহ এটি পরকালে শাফা‘আতকারী হিসেবে দাঁড়াবে এবং মুক্তির পথকে সুগম করবে।
বিনীত
প্রকাশক
سُورَةُ الْفَاتِحَةِ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ
الرَّحمنِ الرَّحِيمِ
ملِكِ يَوْمِ الدِّينِ
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِم
الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ الله
১. সূরাহ আল-ফাতিহাহ*
আয়াত : ৭, রুকূ : ১, মাক্কী
আয়াতঃ ৭, রুকূঃ ১, মাক্কী
১. (আরম্ভ করছি) পরম করুণাময় অসীম দয়াময় আল্লাহ্র নামে ।
২. যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য ।
৩. যিনি পরম করুণাময় অতি দয়ালু ।
যিনি প্রতিফল দিবসের মালিক।
৫. আমরা কেবল তোমারই ইবাদাত করি এবং কেবলমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
৬. আমাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন কর।
৭. তাদের পথ, যাদের প্রতি তুমি অনুগ্রহ করেছ। তাদের পথ, যারা গযবপ্রাপ্ত (ইয়াহুদী) নয় ও পথভ্রষ্ট (খ্রিস্টান) নয়।
*উবাদাহ ইবনু সামিত (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : যে ব্যক্তি সলাতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা পড়ল না, তার নামায হলো না। -বুখারী ৭৫৬, [মুসলিম ৩৯৪, তিরমিযী ২৪৭, নাসায়ী ৯১০, ৯১১; আবূ দাউদ ৮২২, ইবনে মাজাহ ৮৩৭, আহমাদ ২২১৬৩, ২২১৮৬, ২২২৩৭] আবূ সা’ঈদ ইবনু মু’আল্লা (মন হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা মাসজিদে নাববীতে নামায আদায় করছিলাম, এমন সময় রসূলুল্লাহ (র) আমাকে ডাকেন। কিন্তু ডাকে আমি সাড়া দেইনি। পরে আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি নামায আদায় করছিলাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ কি বলেননি যে, “ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা নাড়া দেবে আল্লাহ্ ও রসূলের ডাকে, যখন তিনি তোমাদেরকে ডাক দেন” (সূরাহ আনফাল ৮/২৪)। তারপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার আগেই তোমাকে আমি কুরআনের এক অতি মহান সূরাহ্ শিক্ষা দিব। তারপর তিনি আমার হাত ধরেন। এরপর যখন তিনি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করেন তখন আমি তাঁকে বললাম, আপনি কি বলেননি যে আমাকে কুরআনের অতি মহান সূরাহ্ শিক্ষা দিবেন? তিনি বললেন : । সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক, এটা বারবার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহান কুরআন যা কেবল আমাকেই দেয়া হয়েছে। -বুখারী ৪৪৭৪ [৪৬৪৭, ৪৭০৩, ৫০০৬; নাসায়ী ৯১৩, আবূ দাউদ ১৪৫৮, ইবনে মাজাহ ৩৭৮৫, আহমাদ ১৫৩০৩, ১৭৯৩৫; দারিমী ১৪৯২, ৩৩৭১]
আবূ সাঈদ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (ﷺ)-এর একদল সাহাবী কোন এক সফরে যাত্রা করেন। তারা এক আরব গোত্রে পৌছে তাদের মেহমান হতে চাইলেন। কিন্তু তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। সে গোত্রের সরদার বিচ্ছু দ্বারা দংশিত হল। লোকেরা তার (আরোগ্যের) জন্য সব ধরনের চেষ্টা করল। কিন্তু কিছুতেই কোন উপকার হল না। তখন তাদের কেউ বলল, এ কাফেলা যারা এখানে অবতরণ করেছে তাদের কাছে তোমরা গেলে ভাল হত। সম্ভবত, তাদের কারো কাছে কিছু থাকতে পারে। ওরা তাদের নিকট গেল এবং বলল, হে যাত্রীদল! আমাদের সরদারকে বিচ্ছু দংশন করেছে, আমরা সব রকমের চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছুতেই উপকার হচ্ছে না। তোমাদের কারো কাছে কিছু আছে কি? তাদের (সাহাবীদের) একজন বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহর কসম আমি ঝাড়-ফুঁক করতে পারি। আমরা তোমাদের মেহমানদারী কামনা করেছিলাম, কিন্তু তোমরা আমাদের জন্য মেহমানদারী করনি। কাজেই আমি তোমাদের ঝাড়-ফুঁক করব না, যে পর্যন্ত না তোমরা আমাদের জন্য পারিশ্রমিক নির্ধারণ কর। তখন তারা এক পাল বকরীর শর্তে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হল। তারপর তিনি গিয়ে [সূরা ফাতিহা) পড়ে তার উপর ফুঁ দিতে লাগলেন। ফলে সে (এমনভাবে নিরাময় হল) যেন বন্ধন হতে মুক্ত হল এবং সে এমনভাবে চলতে ফিরতে লাগল যেন তার কোন কষ্টই ছিল না।……….. হাদীসের শেষ পর্যন্ত। -বুখারী ২২৭৬ [৫০০৭, ৫৭৩৬, ৫৭৪৯, মুসলিম ৩৯/২৩, হাঃ ২২০১, আহমাদ ১১৩৯৯]
………..

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (বিষয়সূচীসহ)
Reviews
There are no reviews yet.