পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল—***সুরা নিসাঃ আয়াত- ৩৪।
যে কারনে এই পোস্ট তা হল, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে নারী স্পিকার মনোনয়ন। স্পিকার মানেই রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি।
[পুরো লেখা পড়ে মন্তব্য করবেন এবং আপনাদের মতামত দলিলসহ দিলে পোস্টটি পূর্ণাঙ্গ হবে]
আল্লাহ বলেছেনঃ
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচঞ্ঝা করে থাক এবং আত্নীয় জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন। ***সুরা নিসাঃ আয়াত – ১।
এই আয়াতে আল্লাহ বলেছেনঃ আদমের জুড়ি হিসাবে তার দেহ বা অবয়ব হতে একাংশ নিয়ে বা তার পাজর হতে তার স্ত্রী হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন। [মুত্বাফাক আলাইহ, মিশকাতঃ ৩২৩৮, বিবাহ অধ্যায়]।
“পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল”
“পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ”। ***সুরা নিসাঃ আয়াত- ৩৪।
আবু বাকরাহ(রাঃ) [খলিফা আবু বকর(রাঃ) নন] বর্ণিতঃ যখন রাসুল(সাঃ)-এর নিকট এই সংবাদ আসল যে, (ইরানী) পারস্যের জনগন কিসরার কন্যাকে(মেয়ে) তাদের বাদশাহ মনোনীত করেছে। তখন তিনি বললেনঃ “সে জাতি কখনও সাফল্য অর্জন করতে পারে না, যে জাতি তাদের স্বীয় কাজকর্মের কর্তৃত্ব ও দায়িত্বভার একজন নারীর হাতে সোপর্দ করে”। ***বুখারী, তিরমিযী ও নাসাঈ।
রাসুল(সাঃ) আরও বলেছেনঃ
“সেই ক্বওম কখনোই কল্যাণ লাভ করবে না যে ক্বওমের প্রধান হবে মহিলা।” *** বুখারী শরীফ।
“যখন তোমাদের শাসনভার মহিলাদের উপর ন্যস্ত হয় তখন যমীনের উপরিভাগ থেকে যমীনের তলভাগ তোমাদের জন্য উত্তম। অর্থাৎ বেঁচে থাকার চেয়ে মারা যাওয়াই ভাল।” ***তিরমিযী।
নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে বিরক্তি প্রকাশ করে রাসূল(সাঃ) বলেছেনঃ
“যখন তোমাদের শাসক হবে তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা দুষ্ট ও শয়তান প্রকৃতির, তোমাদের ধনীরা যখন হবে তোমাদের মধ্যে বেশি কৃপণ আর তোমাদের (জাতীয়) কাজ-কর্মের দায়িত্ব যখন ন্যস্ত হবে তোমাদের স্ত্রী লোকদের হাতে তখন মৃত্যু হবে জীবন অপেক্ষা উত্তম।” ***তিরমিযী।
ইসলামের দৃষ্টিতে নারী নেতৃত্ব নাজায়িয ও হারামঃ
যুক্তি সমুহঃ
১) কুরআন এবং সুন্নাহ’তে স্পষ্টভাবে নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। কুরআনে আল্লাহ স্পষ্ট ভাষায় বর্ণনা করেছেন, “আল্লাহ পাক পুরুষদেরকে নারীদের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন”।
২) আজ যারা ইসলামের নামে নারী নেতৃত্ব জায়িয বলেছে তাদের অতীত লেখা বই-পুস্তকে নারী নেতৃত্বকে তারাই নাজায়িয ও হারাম বলেছে। কাজেই তারা যে বর্ণচোরা, ধর্মব্যবসায়ী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারাই হাদীছ শরীফ-এ ঘোষিত দাজ্জালে কাযযাব। তারা আল্লাহ পাক-এর যমীনে নিকৃষ্ট প্রাণী। তাদের থেকে দূরে থাকা ও তাদেরকে দূরে রাখা মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব।
৩) খিলাফতে জিহাদের নেতৃত্ব দেয়া, জুমুয়ার ইমামতি করা খলীফাদের দায়িত্ব। কিন্তু মহিলাদের দ্বারা তা সম্ভব নয়। এজন্য আল্লাহ পাক মহিলাদেরকে নবীও করেননি।
৪) ধর্মব্যবসায়ী বদমাশরা সাবার রানী বিলকিসের কথা উল্লেখ করে নারী নেতৃত্ব জায়িয করার কথা বলে। কিন্তু তারা জাহিল বলেই বুঝতে পারে না অথবা না বোঝার ভান করে থাকে, যে হযরত সোলায়মান (আঃ)-এর শরীয়ত আর আখিরী নবী ও রাসূল(সাঃ) -এর শরীয়ত এক নয়।
৫) ইসলামে নারী নেতৃত্ব সমর্থন থাকলে রাসুল(সাঃ) -এর ওফাতের পর খলীফা হতেন উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা(রাঃ)।
কারন, রাসুল(সাঃ) বলেছেন, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা(রাঃ)’র কাছ থেকে মানুষ অর্ধেক দ্বীন শিক্ষা করবে। কিন্তু তারপরেও খিলাফতের দায়িত্বে তিনি আসেননি বা নেননি। এরপর নারী নেতৃত্ব জায়িয হলে খেলাফতের দায়িত্বে আসতেন হযরত মা ফাতিমা(রাঃ); উনার সম্পর্কে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, হযরত ফাতিমা (রাঃ) হচ্ছেন আমার কলিজার টুকরা ও বেহেশতের মহিলাদের সাইয়্যিদা (সুবহানাল্লাহ!!!); কিন্তু তারপরেও উনারা খিলাফতের দায়িত্ব নেননি বা নিতে আগ্রহ পোষণ করেননি।
৬) দেশ শাসন এবং রাজনীতিতে যারা নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চান তারা প্রায়ই উটের যুদ্ধে হযরত আয়েশা (রাঃ) এর নেতৃত্ব দেয়ার ঘটনাকে প্রমাণ হিসেবে জাহির করেন; কিন্তু ইসলামী ইতিহাস সম্পর্কে তাদের হয় আংশিক জ্ঞান নতুবা চরম অবজ্ঞা কাজ করে। তারা জানেন না যে উটের যুদ্ধে হযরত আয়েশা (রাঃ) কে উটের পিঠে এ ঘাঁটি থেকে ও ঘাঁটি দৌড়াদৌড়ি করতে দেখে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বলেছিলেন, “ আয়েশার জন্য তাঁর ঘর তাঁর উটের পিঠের আসন অপেক্ষা উত্তম; একথাটি স্মরণ রাখা উচিৎ।”
উটের যুদ্ধের সমাপ্তির পর হযরত আলী (রাঃ) হযরত আয়েশা(রাঃ) এর সাথে সাক্ষাতে বলেছিলেন,
“হে উটের পিঠে আরোহিণী, আল্লাহ্ পাক আপনাকে ঘরে থাকার নির্দেশ করেছিলেন কিন্তু আপনি যুদ্ধ করার জন্য বের হয়েছেন।”
আয়েশা(রাঃ) এর প্রত্যুত্তর দিতে পারেন নি।বরং আয়েশা (রাঃ) এ কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়ে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার(রাঃ) এর নিকট অভিযোগ করেছিলেনঃ
“তুমি যদি তখন আমাকে নিষেধ করতে, তাহলে নিশ্চয়ই আমি ঘর থেকে বের হতাম না।”
সুতরাং আয়েশা(রাঃ) এর ব্যক্তিগত এ কাজটি শরীয়তের দলিল মনে করে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালানো কতটুকু যৌক্তিক তা এখন বিবেচনার বিষয়।
৭) পৃথিবীর বিগত সভ্যতাগুলি ধ্বংস হয়েছে মুলতঃ নারী ও মদের সহজলভ্যতার কারনে। সভ্য ও আল্লাহভীরুদের নিকট ঈমানের সর্ব প্রথম ফরয হলঃ স্ব স্ব লজ্জাস্থান আবৃত করা বা রাখা এবং ইযযত ও আবরুর হেফাজত করা। অন্যান্য ফরয সবই এর পরে। নারীর পর্দা কেবল তার পোষাকে হবে না, বরং তা হবে তার ভিতরে, তার কথাবার্তায়, আচার আচরনে এবং চাল-চলনে সর্ব বিষয়ে। যেমনঃ আল্লাহ বলেছেনঃ
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। ***সুরা নূরঃ আয়াত -৩০।
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
***সুরা নূরঃ আয়াত -৩১।
৮) রাসুল(সাঃ) বলেছেনঃ
“যখন আমার উম্মাত ১০টা কাজ করবে, তখন তাদের উপর বিপদ নেমে আসবে। রাসূল (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে রাসূল, সেই গুলো কী কী? তিনি বললেনঃ
*** যখন রাস্ট্রীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করা হবে।
*** যখন আমানত হিসেবে রক্ষিত সম্পদকে লুটের মাল হিসাবে গ্রহণ করা হবে (অর্থাৎ আত্মসাৎ করা হবে)।
*** যাকাতকে জরিমানার মতন মনে করা হবে।
*** স্বামী যখন স্ত্রীর আনুগত্য করবে এবং মায়ের অবাধ্য হবে।
*** বন্ধুর প্রতি সদাচারী ও পিতার সাথে দুর্ব্যবহারকারী হবে।
*** মসজিদে হৈ চৈ হবে।
*** জনগণের নেতা হবে সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যেকার সবচেয়ে নিকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী।
*** মানুষকে তার ক্ষতির আশংকায় সম্মান করা হবে।
*** গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের হিড়িক পড়ে যাবে।
*** উম্মাতের পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদেরকে অভিশাপ দেবে তখন আগুনে বাতাস আসবে, মাটির ধস ও দেহের বিকৃতি ঘটবে।
~~~সহীহ তিরমিযী। হযরত আলী(রাঃ) থেকে বর্ণিত। আত-তারগীব ওয়াত তারহীবঃ ৩য় খন্ডঃ ১৫৪১।
বর্তমানে বাংলাদেশ তথা সারা দুনিয়ার মুসলমান পুরুষরা বা স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের আনুগত্য করছে। এবং এটা হারাম। উপরের বাকী লক্ষণ গুলো থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিপদ তথা কিয়ামতের আলামত আসতে বাকী নাই।
মিশরের একটি ফতোওয়া এখানে উল্লেখ করলাম। (এটা আমার কোন মত না, তবুও শেয়ার করলাম।এবং এটি সংগৃহিত। আপনাদের মতামত দলিলসহ দিলে পোস্টটি পূর্ণাঙ্গ হবে)।
ইসলমামে কি নারী নেতৃত্ব হারাম?
পড়ুন মিশরের গ্র্যান্ড মুফতি আলী গমার ফাতওয়াঃ
ইসলাম কখনোই সমাজের কোন কোন ব্যাপারে মেয়েদের ভূমিকাকে অন্যদের তুলনায় সীমিত করেনি। সর্বপ্রথম যে ব্যাক্তিটি নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দাওয়াত কবুল করে ইসলাম ধর্ম কবুল করেছিলেন তিনি ছিলেন একজন নারী। ইসলামের প্রথম শহীদ ছিলেন একজন নারী, ঠিক তেমনি প্রথম মুহাজিরও ছিলেন একজন নারী। শত শত বছর ধরে নারীরা উচ্চ উচ্চ পদে দায়িত্তপালন করেছেন, তারা ছিলেন শাসক, বিচারক, যোদ্ধা, শিক্ষক, মুফতি, ইত্যাদি। ইসলামের ইতিহাসের যে কোন সৎ ছাত্রই এই সাক্ষী দেবে।
রাষ্ট্রের প্রধানের ব্যাপারে একটি হাদিস আছে যা পরোক্ষভাবে নারী নেতৃত্বকে নিষিদ্ধ করেছে, হাদিসে বলা হয়েছে, যেসব লোক কোন নারীকে তাদের নেতা নিয়োগ করে তারা উন্নতি করতে পারবে না। অবশ্য, ইসলামের ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে পঞ্চাশেরও বেশি নারী শাসক দেখা যায়, যেমন মিশরের সিত আল-মুলক, সিনায় রানী আসমা ও আরওয়া, আল-আন্দালুসে জায়নাব আল-নাফযাভিয়া, দিল্লিতে সুলতানা রাজিয়া, মিশরে শাজারাত আল-দুর ইত্যাদি। বিভিন্ন সামাজিক জীবনে, যুদ্ধে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, পুলিশে(হিসবা), এবং বাজারে নারীদের অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে রসুলুল্লাহর সম্মতির ব্যাপারে কোন বিতর্ক নাই।
উপরে উল্লেখিত হাদিসের কারনে, অনেক ইসলামিক স্কলাররা নারীদের রাষ্ট্র প্রধান হওয়াকে নিষিদ্ধ বলে মনে করেন। হানাফি মাজহাবে কিছুটা সীমিত পরিসরে নারীদের বিচারক হওয়াকে জায়েজ বলে মনে করা হয়। অবশ্য , নারীদের বিচারক ও রাষ্ট্র প্রধান হওয়াকে সম্পূর্ণ ভাবে জায়েজ বলে মত দিয়েছেন কেউ কেউ, যেমন ইবনে জারির আল-তাবারি, ইবনে হাজম আল-যাহিরি, আবু আল ফাতহ ইবনে তারার, ইবনে আল-কাসিম, ইত্যাদি।
এটা মনে রাখা খুবই গুরুত্তপূর্ণ যে এই হাদিসটি একটি বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে ও অবস্থায় রসুলুল্লাহর উক্তি, যখন কিনা পারস্যবাসীরা শেষ উপায় (কিসরা ও তার ছেলের নিহত হওয়ার পর) হিসাবে একজন নারীকে(কিসরার কন্যাকে) তাদের প্রধান নিয়োগ করেছিলেন। নবীর এই হাদিসটি নির্দেশনা হিসাবে গ্রহন করা যাবে না, বরং ইহা পারস্যদের পতনের একটি ইঙ্গিত। আইনশাস্ত্রের মুলনীতিতে এটি পরিস্কার যে একটি বিশেষ ঘটনা (খাস) সর্ব অবস্থায় (আম) প্রয়োগ করা যায় না। অধিকন্তু, আল্লাহ্ নিজেই বিলকিস(সাবার রানী)- এর যোগ্যতা ও বিচক্ষণতার প্রশংসা করেছেন কুর’আনে।
ইসলামে খলিফার উচ্চস্থান এবং সমসাময়িক রাষ্ট্রের প্রধানের মধ্যে যে বিশেষ পার্থক্য আছে সে বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে। খলিফা একটি ধর্মীয় পদ, যার অনেকগুলি দায়িত্তের একটি যা বর্তমান শাসকদের করতে হয়না তা হল মুসলিমদের নামাজের ইমামতি করা, এই শর্তটির ব্যাপারে সকল স্কলাররাই একমত। অন্যদিকে, সমসাময়িক রাষ্ট্রের প্রধানের পদটি একটি সরকারি পদ যেখানে সকল মুসলিম উম্মার প্রধান হওয়ার বিষয়টি নেই। সুতরাং, এই পদটিতে আসীন হওয়ার সকল অধিকার নারীদের আছে।
টীকাঃ উপরের হাদিসটি বর্ণনা করেছেন আবু বাকরাহ ( খলিফা আবু বকর (রাঃ) না) যিনি একটি ব্যাভিচারের বিচারে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়াতে হজরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তাকে ৮০ বেত্রাঘাত করেন। আল্লাহ্ বলেছেন
আর যারা সতী-সাধ্বী নারীর ওপর অপবাদ লাগায়, তারপর চারজন সাক্ষী আনে না , তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করো এবং তাদের সাক্ষ কখনো গ্রহণ করো না ৷ তারা নিজেরাই ফাসেক। (সূরা নূর, আয়াতঃ ৪)।
তাহলে এই ব্যাক্তির বর্ণিত হাদিস গ্রহন করার সুযোগ কতটুকু? যদিও হাদিসটি বুখারী শরীফের অন্তর্ভুক্ত, তথাপি, ইবনে হাজম ও নাসির উদ্দিন আলবানী এই হাদিসটিকে গ্রহন করেন নি কেবল রাবীর কারনে। উল্লেখ্য, ইমান ইবনে বুখারী(রহঃ) একজন মানুষ ছিলেন তাই উনার ভুল হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
[প্রকৃত সত্য আল্লাহ্ই ভাল জানেন]
[উপরে উল্লেখিত ফাতওয়াটি সম্পূর্ণ রুপে মিশরের গ্র্যান্ড মুফতি আলী গমা – এর মত। এক্ষেত্রে Islam, the Solution of Humanity এর কোন মতামত নেই। উল্লেখ্য, অনেক ইসলামিক স্কলারদের মতে নারী একটি রাষ্ট্রের প্রধান হতে পারবে না।]
Reviews
There are no reviews yet.