অযাহাক্বাল বাত্বিল ( বাতিল প্রত্যাখ্যাত )
বই: অযাহাক্বাল বাত্বিল ( বাতিল প্রত্যাখ্যাত )
সংকলনে: শাইখ আব্দুল হামীদ ফাইযী আল মাদানী
প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স
পৃষ্ঠা: ১৫২
কভার: পেপার ব্যাক
বইটি কিনতে কিল্ক করুন: অযাহাক্বাল বাত্বিল
আরো জানতে কিল্ক করুন: তাওহীদ পাবলকিশেন্স
অযাহাক্বাল বাত্বিল ( বাতিল প্রত্যাখ্যাত )
সংকলনে: শাইখ আব্দুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী
প্রকাশনী: তাওহীদ পাবলিকেশন্স
সূচীপত্র
বিষয়:
ভূমিকা
অবতরণিকা
গায়র মুকাল্লিদদের অস্তিত্ব
‘ফেকাহ’ কী?
আহলে হাদীস ও হানাফীদের মাঝে আসল পার্থক্য
তারকা থেকে ঈমানজয়ী কারা?
হাদীসের কিতাবের লেখকগণ মুকাল্লিদ ছিলেন না
দলীল পরস্পর-বিরোধী হলে
আমীন সশব্দে না নিঃশব্দে?
নামাযে হাত কোথায় বাঁধবেন?
রফয়ে য়্যাদাইন
অযাহাক্বাল বাত্বিল ( বাতিল প্রত্যাখ্যাত )
রফয়ে য়্যাদাইন মনসূখ হওয়ার চমৎকার উপমা
আহলে হাদীসের কল্পিত মূলনীতি
ইমামের পিছনে মুক্তাদীর ক্বিরাআত
মুসাফাহাহ এক হাতে
বুখারীর ছাড়া অন্য হাদীস
খালি মাথায় নামায
নামাযে পা ফাক ক’রে দাঁড়ানো
তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ
তিন তালাক প্রসঙ্গ
পরিশিষ্ট
লেখকের অন্যান্য বই
অযাহাক্বাল বাত্বিল ( বাতিল প্রত্যাখ্যাত )
ভূমিকা
হক-বাতিলের লড়াই চিরন্তন। পরন্তু সকলের দাবী, তারাই হকপন্থী। আর মুশকিলটা সেখানেই। তাছাড়া ‘ফারয়ী’ বা গৌণ বিষয়ে ‘ইখতিলাফ’ বা মতভেদ তো থাকবেই। সাহাবাদের মাঝেও ‘ইখতিলাফ’ ছিল। আর
মহান আল্লাহ বলেছেন,
وَلَوْ شَاءَ رَبُّكَ لَجَعَلَ النَّاسَ أُمَّةً وَاحِدَةً وَلَا يَزَالُوْنَ مُخْتَلِفِينَ إِلَّا مَنْ رَّحِمَ رَبُّكَ وَلِذَلِكَ خَلَقَهُمْ وَتَمَّتْ كَلِمَةُ رَبِّكَ لَامْلَنَنَّ جَهَنَّمَ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
أَجْمَعِينَ
অর্থাৎ, তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করলে তিনি সকল মানুষকে এক জাতি করতে পারতেন। কিন্তু তারা সদা মতভেদ করতেই থাকবে। তবে যাদের প্রতি তোমার প্রতিপালক দয়া করেন তারা নয়, আর এ জন্যেই তিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, আর তোমার প্রতিপালকের এ বাণী পূর্ণ হবেই যে, ‘আমি জাহান্নামকে জ্বিন আর মানুষ দিয়ে অবশ্য অবশ্যই ভরে দেব’। (হূদ ১১: ১১৮-১১৯)
অযাহাক্বাল বাত্বিল ( বাতিল প্রত্যাখ্যাত )
কিন্তু সে মতভেদ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং তার সাথে কাদা ছুঁড়াছুঁড়ি করে দুশমন হাসানো কোন পক্ষের জন্যই সমীচীন নয় ।
লক্ষ্যণীয় যে, নেতায়-নেতায় দ্বন্দ্ব ও তর্কাতর্কি কম হয় অথবা হয় না বললেই চলে। অনেক সময় বিরোধী দলের নেতার সাথে নিজের দলের নেতাকে এক টেবিলে বসে খাওয়া-দাওয়া বা খোশগল্প করতে দেখা যায়। পক্ষান্তরে দলের অনুসারীদের মাঝে দ্বন্দ্বের ঝড় অতি বেগে তছনছ করে। অনুরূপ দ্বীনের নানা মযহাবের অনুসারীদের মাঝেও হয়ে থাকে, হতে পারে। কারণ, তারা সাধারণ মানুষ এবং তারা তত্ত্ব ও তথ্য সম্বন্ধে অজ্ঞ। কিন্তু কোন উচ্চ পর্যায়ের আলেমের জন্য তা সাজে না। প্রতিপক্ষকে নানা অপবাদ দিয়ে ছোট করা মানায় না। আভাসে-ইঙ্গিতে ব্যঙ্গ ক’রে লাঞ্ছিত করা তাঁর মুখে-কলমে শোভা পায় না।
সাধারণ যালেম লোকে আগুন লাগালে আলেম-সমাজকে পানি ঢেলে নিভাতে হয়। পানির জায়গায় পেট্রোল ঢালা চলে না। নচেৎ সেই পরিণাম দেখতে হয়, যা মোটেই শুভ নয় এবং যা দুশমনে পছন্দ করে ও দোস্তে অপছন্দ।
মুফতী আব্দুল হামীদ কাসেমী সাহেব ‘জা-আলহুক’ বইয়ের প্রশংসায় লিখেছেন, ‘মুফতী সাহেব নিখুঁত কুরআন (?) হাদিস ও ফিকহাহ এবং
অযাহাকাল বাতিল (বাতিল প্রত্যাখ্যাত )
ইসলামী জাহানের সর্বজনমান্য আল্লামা, পণ্ডিত বর্গের মতাদর্শে যুক্তি, বিজ্ঞান ও দর্শনের কষ্টি পাথরে যাচাই করে যে বক্তব্য উপস্থাপিত ঝাড়ু দ্বারা জালকে ছিন্ন-ভিন্ন করার মতো কুটি কুটি করে দিয়েছেন। করেছেন, উহাদের মাকড়সার জালের মতো যুক্তি ও প্রমাণকে মহিলাদের ঝাড়ু দ্বারা জালকে ছিন্ন-ভিন্ন করার মতো কুটি কুটি করে দিয়েছেন ।’
সত্যিই বলেছেন মুফতী সাহেব । সহীহ হাদীস তাঁদের কাছে মাকড়সার জাল! জানি না, তাঁর বিজ্ঞান ও দর্শনটা কী? আর সত্যিই তিনি ‘উহাদের মাকড়সার জালের মতো যুক্তি ও প্রমাণকে মহিলাদের ঝাড়ু দ্বারা জালকে ছিন্ন-ভিন্ন করার মতো (তাঁর মনসূখের ঝাড়ু দ্বারা) কুটি কুটি করে দিয়েছেন।’
মুফতী সাহেবের চোখে ধরা পড়েছে, তাই লিখেছেন, ‘নবীন লেখক বিষয়সূচী সাজানোর একটু আগোছালো ভাষায় কিঞ্চিৎ জড়তা বিদ্যমান।’ তিনি আরো লিখেছেন, ‘কাহারো মতে “শানিত কৃপান” নাম রাখলে ভাল হতো।’ কিন্তু আমাদের অনেকে বলেন, “বরং “শোণিতাক্ত কৃপাণ” রাখলে আরো ভাল হত। যেহেতু এতে বাগদাদের আকাশ-বাতাসের মতো শোণিতের গন্ধ বিদ্যমান ।
ইন শাআল্লাহ ঐ বই দ্বারা “মিথ্যা দাবীদার আহলে হাদীস’ সত্যিকার আহলে হাদীসে পরিণত হবে। আর যারা আহলে হাদীস হওয়া সত্ত্বেও উদারতার সাথে সম্প্রীতি বজায় রাখার চেষ্টা করছিল, তারা পাক্কা হানাফী-বিদ্বেষী হয়ে উঠবে । আর আফসোস করবেন উদারপন্থী হানাফী সুধীমণ্ডলী ।
অযাহাক্বাল বাত্বিল ( বাতিল প্রত্যাখ্যাত )
ঐ বইয়ের জবাব লিখে কাউকে, কোন মযহাব বা দলকে ছোট করা আমার উদ্দেশ্য নয়। দীর্ঘকাল থেকে চলে আসা মযহাবী কোন্দল যে দূর হবে—সে আশাও করি না। তবে এ আশা করি যে, অনেকের মনের আকাশে জমে উঠা মেঘ সরে যাবে। ছুঁড়ে দেয়া যে কাদা আমাদের গায়ে লেগেছে, তা প্রক্ষালিত হবে ।
‘জা-আলহাক্ক’ বলতে ইসলামের হক এবং ‘যাহাকাল বাতিল’ বলতে কুফরী ও শির্কের বাতিলকে বুঝানো হয়েছে আল-কুরআনে। কিন্তু যেহেতু মুফতী সাহেব নিজেদের তাক্বলীদী মযহাবকে ‘হাক্ব’ বা ‘সত্য’ বলে নতুনভাবে ‘সমাগত’ ভেবেছেন, তাই আহলে হাদীসরা সেটাকে ‘বাতিল’ জানলে আমি এই পুস্তিকার নামকরণ করেছি, ‘অযাহাক্কাল বাত্বিল’।
অযাহাক্বাল বাত্বিল ( বাতিল প্রত্যাখ্যাত )

অযাহাক্বাল বাত্বিল ( বাতিল প্রত্যাখ্যাত )
Reviews
There are no reviews yet.